প্রতীকী ছবি
ভোটপর্ব মিটতেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মণিপুরে। শুক্রবার গভীর রাতে বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনায় জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের দুই জওয়ান। সেই আবহেই আবারও মণিপুরের কয়েক জায়গায় ভোট করাবে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, আউটার মণিপুরের ছ’টি বুথে নতুন ভোটগ্রহণ হবে,
দুই লোকসভা আসনযুক্ত মণিপুরে দু’দফায় ভোট করিয়েছে কমিশন। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচনে ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুরের কিছু জায়গায় ভোট ছিল। ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় আউটার মণিপুরের বাকি জায়গাগুলিতে ভোটগ্রহণ হয়। সেই সব কেন্দ্রের মধ্যেই ছ’টি বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, আউটার মণিপুরের ছ’টি বুথের ভোট বাতিল করা হয়েছে। সেই সব বুথে আবারও ৩০ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে। সকাল সাতটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে ওই বুথগুলিতে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন অফিসার প্রদীপকুমার ঝা জানান, যে সব বুথে আবারও ভোটগ্রহণ হবে, সেখানকার ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মণিপুরে দ্বিতীয় দফার ভোটে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছিল। রিগিং এবং বুথ দখলের অভিযোগও তোলেন বিরোধীরা। কমিশনের কাছে পুনর্নির্বাচনের আর্জিও জানানো হয়। সেই মোতাবেক ছ’টি বুথে আবারও ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
প্রথম দফার ভোটের পরেও ইনার মণিপুরে ১১টি বুথে পুনর্নির্বাচন করেছিল কমিশন। কংগ্রেস ৪৭ বুথে পুনর্নির্বাচনের আর্জি জানিয়েছিল। ছ’টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সুপারিশ করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইনার মণিপুর আসনের বিভিন্ন বুথের ভোট বিশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ১১ বুথে ২২ এপ্রিল আবারও ভোট করায়।
২৬ এপ্রিল ভোটপর্ব মিটতেই মণিপুরে হিংসার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ কুকি জঙ্গিদের একটি দল স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং গ্রেনেড নিয়ে নারানসেনা ফাঁড়িতে হামলা চালায়। তাদের নিশানায় ছিল ফাঁড়ি লাগোয়া ব্যারাকটিও। সেখানে ছিলেন সিআরপিএফের ১২৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা। গভীর রাতের অতর্কিত জঙ্গি হানায় তাঁরা আহত হন। তাঁদের মধ্যে দু’জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy