E-Paper

প্রচারে প্রশ্নের মুখে খগেন

এ দিন শুধু গোলঘরেই নয়, সাংসদ খগেনকে আবাস যোজনার ঘর নিয়ে একই রকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ভান্ডারিপাড়াতেও।

জয়ন্ত সেন 

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ০৪:৪৮
মঙ্গলবার দুপুরে মালদহের গাজলের পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলঘরে ভোট প্রচারে গিয়ে আবাস যোজনার ঘর না পাওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে উত্তর মালদহের সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু।

মঙ্গলবার দুপুরে মালদহের গাজলের পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলঘরে ভোট প্রচারে গিয়ে আবাস যোজনার ঘর না পাওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে উত্তর মালদহের সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। ছবি: জয়ন্ত সেন।

দু'দিন আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল দলের এক যুব নেতা উত্তম মণ্ডলের। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে হেঁটে হেঁটে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসিন্দাদের কাছে হাসিমুখেই ভোট চাইছিলেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ তথা এ বারের প্রার্থী খগেন মুর্মু। আচমকা লক্ষ্মী ও দিপালী মণ্ডল নামে দুই মহিলা বাড়ি থেকে কার্যত ছুটে এসে দাঁড়িয়ে পড়লেন খগেনের সামনে। তাঁরা বললেন, ‘‘ভোট তো দিয়েছি। কিন্তু আমরা কি আবাস যোজনায় ঘর পাব না? দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে অনেক বার ফর্ম পূরণ করেছি। কিন্তু কিছুই হয়নি। কুঁড়েঘরেই কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে আমাদের।’’ মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ এ ঘটনা মালদহের গাজল ব্লকের পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলঘর এলাকার।বিচলিত হননি খগেন। পাল্টা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গরিব মানুষের ঘরের জন্য টাকা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সব চুরি করে নিয়েছে। বাড়ির টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা সবই চুরি করে খেয়েছে।’’ যদিও খগেনের অভিযোগ নিয়ে পরে তৃণমূলের নেত্রী তথা জেলার মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরির গরিব মানুষের হকের টাকা না পাঠিয়ে আটকে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বার আবেদন, দরবার করেছিলেন সেই হকের টাকা মেটানোর জন্য। কিন্তু তারা না দেওয়ায় ১০০ দিনের বকেয়া টাকা শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারই দিয়ে দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পার হলে, ঘরের টাকাও দিয়ে দেওয়া হবে। আর এতেই আতঙ্কিত হয়ে বিজেপির নেতা-সাংসদরা ভুলভাল বলে মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন।"

এ দিন শুধু গোলঘরেই নয়, সাংসদ খগেনকে আবাস যোজনার ঘর নিয়ে একই রকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ভান্ডারিপাড়াতেও। সেখানে বছর সত্তরের এক প্রবীণা ফেলো রাজবংশী রাস্তার পাশে থাকা মাটির ঘর দেখিয়ে খগেনকে বলেন, ‘‘চার ছেলে, বৌমা ও নাতি-নাতনি সহ পরিবারের ১৭ জন সদস্য মাটির ঘরেই বাস করছি। বৃষ্টিতে টালির ছাদ থেকে ঘরে জল ঢোকে। কিন্তু আমাদের আবাস যোজনায় পাকা ঘর মেলেনি। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে আবেদন করেছিলাম অনেক বার। কিন্তু তাতেও ঘর পাইনি।" খগেন সেখানেও অভিযোগের আঙুল তোলেন তৃণমূলের দিকেই।

এ দিন পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের গোলঘর, শিবিরপাড়া, ফুলবাড়ি ধোঁয়াদিঘি মোড়, ভান্ডারিপাড়া-সহ নানা গ্রামে ভোট প্রচার করেন খগেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন এমন পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সেখানে সেই সদস্যদের সঙ্গে ছবি তোলেন। তাঁদের ঘরের দেওয়ালে 'মোদীর গ্যারান্টি' স্টিকারও সাঁটেন। সে-সব দলের সুনির্দিষ্ট অ্যাপে তোলেন। বাসিন্দাদের বোঝান যে আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, জল জীবন মিশন, প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মাননিধি, উজ্জ্বলা— সব কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 Khagen Murmu gajal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy