প্রধানমন্ত্রীর সভা শেষ হওয়ার প্রায় ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও, সভাস্থল এখনও নোংরা আবর্জনায় ভরে রয়েছে। ছবিঃ স্বরূপ সরকার।
মাঠ-জুড়ে পড়ে রয়েছে প্লাস্টিকের প্যাকেট, ফেলে দেওয়া খাবার, জলের বোতল থেকে কাগজ এবং বিভিন্ন আবর্জনা। মাঠে বাঁশ, কাঠের খুঁটি পোঁতা হয়েছিল। সেগুলি তুলে ফেলার পরে মাঠে গর্ত হয়েছে। ধুলো উড়ছে পাশের এলাকাতেও। শিলিগুড়ির অদূরে কাওয়াখালি মাঠের রবিবারের ছবি।
এই মাঠেই গত শনিবার জনসভা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। রবিবার দিন পেরিয়ে গেলেও তার সাফাই হয়নি বলে অভিযোগ। অন্য সময় পরিষ্কার এলাকাতেও বিজেপি নেতা, কর্মীদের ঝাঁড়ু হাতে দেখা যায়। কিন্তু দলীয় জনসভার মাঠের পরিষ্কার করতে সেই নেতা, কর্মীরা কোথায় গেলেন প্রশ্ন তুলছেন দলেরই একাংশ। যদিও শিলিগুড়ি সাংগঠনিকে জেলা বিজেপির সভাপতি অরুণ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘আমরা আজ সোমবার মাঠ সাফাই করব। বিশাল মাঠের ভিড়ে কর্মীদের প্যাকেটে জল দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। শ্রমিকদের দিয়েই তা সাফাই করা হবে। বাকি অংশের কাজ দলের তরফেই হবে।’’
পাশের এলাকার মানুষের অভিযোগ, হাওয়ায় প্লাস্টিকের প্যাকেট এবং অন্যান্য আবর্জনা উড়ে গিয়ে এলাকার বাড়িগুলিতে ঢুকছে। সেই মাঠে গরু ঘুরে বেড়ায় অনেক। ফেলে দেওয়ার খাবারের অংশ গরুও খাচ্ছে। তাতে রোগ হতে পারে। পাশের বালাসন নদীতেও আবর্জনা পড়ে নদী দূষণের অভিযোগ উঠছে। দলীয় সূত্রে খবর, মোদীর জনসভার জন্য কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু মাঠ সাফাইয়ের জন্য টাকা খরচ করতে চাইছেন না কেউ। ঝাঁড়ু হাতে নামতে চাইছেন না দলীয় নেতা, কর্মীরা
বলে দাবি।
মাঠে সে ভাবে খেলার কোনও প্রশিক্ষণ না হলেও স্থানীয় ছেলেদের মাঝে মাঝে ক্রিকেট, ফুটবল নিয়ে খেলতে দেখা যায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বিগত সভাতেও দেখা গিয়েছিল, মাঠ নোংরা হয়ে পড়ে থাকে। নানা সমস্যা হয়। মাঠটি শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, যারা জনসভার আয়োজন করে সাধারণত তাদেরই মাঠ পরিষ্কার করার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy