কয়েক বছর আগে দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় পানাগড় বাজার এলাকায় পথপাতির দাবি করেছিল ‘পানাগড় চেম্বার অব কমার্স’। এর পরে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমকে পানাগড় বাজারে পথবাতি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। নিগম আসানসোল-এডিডিএ কে দিয়ে কাজ শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে বেশ কিছু পথবাতি বসানো হলেও এখনও তা জ্বলেনি। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিল কে মেটাবে, এই জটিলতায় পথবাতিগুলি জ্বলেনি। কী ভাবে সমস্যা মেটানো যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জানানো হয়েছে।
বণিক সংগঠন পানাগড় চেম্বার অব কমার্স সূত্রে জানা যায়, ২০২২-এ মুখ্যমন্ত্রী সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক সভা করেছিলেন, তখন তাঁকে পানাগড়ের এই সমস্যার কথা জানানো হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী র নির্দেশ মতো কাজ শুরু হয়। রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, পানাগড় বাজারে পুরনো জাতীয় সড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় পথবাতি বসানো হবে। দুই পর্যায়ে এই কাজ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে পানাগড় গ্রামের একটি হোটেল থেকে দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত এই কাজ হবে। মাস পাঁচেক আগে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ করে ৩৮টি পথবাতি বসানো হয়। কিন্তু এত দিনেও সেই পথবাতি জ্বলেনি।
এডিডিএ সূত্রে জানা যায়, পথবাতিগুলি বসানোর জন্য শিল্প উন্নয়ন নিগম খরচ করেছে। এডিডিএ-র মাধ্যমে সেগুলি বসানো হয়েছে। তাদের দাবি, বিদ্যুতের বিল জোগাড় করার কথা স্থানীয় প্রশাসনের। সেই ব্যবস্থা এখনও না হওয়ায় পথবাতিগুলি জ্বলেনি। বণিক সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা রতনপ্রসাদ আগরওয়াল জানান, আগেও বিদ্যুতের বিল কে দেবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়ায় এখনও পর্যন্ত পুরনো কাঁকসা রোডের পথবাতিগুলি জ্বলেনি। এখানেও একই সমস্যা। তিনি বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বার বার বৈঠক করেছি। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি।”
পথবাতিগুলি না জ্বলায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষজন। সুশোভন মণ্ডল, বিনোদ ঘোষরা বলেন, “সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় পানাগড় বাজার। চলাফেরা করা দায় হয়ে যায়। সেখানে পথবাতি বসানোর পরেও তা না জ্বলা সত্যিই আশ্চর্যের।” কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে বিদ্যুতের বিল দেওয়ার মতো অর্থ নেই। আমরা বণিক সংগঠনকে বিদ্যুতের বিল জোগাড় করার জন্য বলেছি। তারা সহমত হলেই এগুলি চালু হয়ে যাবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)