হাটে বসে সব্জি বেচছেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। — নিজস্ব চিত্র।
চায়ের দোকানে ঢুকে কখনও চা তৈরি করে কর্মী-সমর্থকদের খাওয়ালেন, ১০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী হাটে বসে সব্জি বিক্রি করলেন, আবার কখনও মাটির সামগ্রীর বিক্রেতা হলেন। ভোটপ্রচারে গিয়ে অভিনব ভাবে জনসংযোগ সারলেন মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। অন্য দিকে, কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী মাতলেন খেলায়। মালদহ দক্ষিণে জমে উঠল শনিবাসরীয় প্রচার।
শনিবার সকাল থেকেই মানিকচক বিধানসভার মথুরাপুরে ভোটপ্রচারে এলাকা চষে ফেললেন বিজেপি প্রার্থী। এই এলাকায় বসে মথুরাপুরের শনিবারের হাট। এই হাটে হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা। এক সময় মথুরাপুরে নীল চাষ হত। ইংরেজ আমলে সেই নীল নৌকা করে ভিন্রাজ্যে পাড়ি দিত। আর সেই নীল বিক্রি হত মথুরাপুরের শনিবারের হাটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে হাটের চরিত্রের। শ্রীরূপা বলেন, ‘‘বাংলার কবি, বিশ্বের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাটের উপর কবিতা লিখেছিলেন। হাট গ্রামীণ বাংলার কথা জানায়। এই হাটে পুরো ভারতের দেখা মেলে। মানুষে মানুষে মেলবন্ধন হল হাট। তাই হাটের ক্রেতা-বিক্রেতার সুখদুঃখ ভাগ করে নিচ্ছি। তাঁদের সঙ্গে একটা দিন কাটাব। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করব। নির্বাচনী প্রচারে আছি। কিন্তু এই হাট-বাজারের মানুষের সমস্যার কথা শুনে সংসদে গিয়ে তা বলার জন্যেই আমার এমন ভাবনা।’’
অন্য দিকে, শনিবার মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা কালিয়াচক ২ ব্লকে ভোট প্রচার সারেন। কালিয়াচক ২ ব্লকের বাঙ্গিটোলা, পঞ্চনন্দপুর, বাবলা-সহ একাধিক এলাকায় পায়ে হেঁটে প্রচার সারেন। কোথাও খেলেন ক্যারম, আবার কোথাও ভলিবল। এলাকার মহিলাদের কাছে শোনেন সমস্যার কথা। কংগ্রেসের পক্ষে চাইলেন ভোট। পরে ঈশা বলেন, ‘‘মোথাবাড়ি বিধানসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন তৃণমূলের নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কিন্তু, মানুষের দুর্দশা আজও রয়ে গিয়েছে। তাই লোকসভায় কংগ্রেসকে সমর্থন করার আবেদন করলাম।’’ প্রচারে ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি কংগ্রেস প্রার্থীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy