প্রচারের ফাঁকে ক্ষনিক বিশ্রাম প্রার্থীর । বিষ্ণুপুর বিধানসভার আমড্যাঙরা। ছবিঃ অভিজিৎ অধিকারী।
বিষ্ণুপুরের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোঁচা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বাঁকুড়ার রাইপুরের নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুরের সাংসদকে নিয়ে কী বলব! তাঁর যদি ফটোগুলো খুলি, তাহলে বিষ্ণুপুরের মানুষ বুঝতে পারবেন, বিজেপি কত আদর্শবান দল! ওঁরা মিথ্যা কথা বলে বেড়ায়। সব ছবি আমার কাছে আছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সৌমিত্র বলেন, ‘‘আমি চাইছি আপনি সব সামনে নিয়ে আসুন। বুজরুকি বিষ্ণুপুরের মানুষকে দেবেন না। আপনার ভাইপো চোর হতে পারেন, আমি নই। আপনার ভাইপো চরিত্রহীন হতে পারেন, রাশিয়ান বান্ধবী রাখতে পারেন, আমার সে সব নেই। রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবিলা করব।” তবে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য ঠিক বলে দাবি সৌমিত্রর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের।
আদালতের নিষেধাজ্ঞায় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে সৌমিত্র বিষ্ণুপুরে আসতে পারেননি। সে বার তাঁর হয়ে বিজেপির জন্য ভোট চেয়েছিলেন স্ত্রী সুজাতা। ঘটনাচক্রে এ বার সৌমিত্রর বিরুদ্ধেই সুজাতাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এ দিন মমতা সৌমিত্রকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘জানি না বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে কি না। তাঁর স্ত্রী সেখানে দাঁড়িয়েছেন।’’ সুজাতা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছিলেন না (রাইপুর বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে)। জয়পুরে প্রচারে ছিলেন। সুজাতা বলেন, ‘‘নেত্রী জানেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ২০২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া আদালতে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। বিভিন্ন চাপে হয়তো তিনি ভুলে গিয়েছেন।’’
সৌমিত্র দাবি করেন, ‘‘বাঁকুড়া আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের পরেই আমি আইন মেনে পুনরায় বিয়ে করেছি। কাকে বিয়ে করব, সেটা মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করে দেবেন?” সুজাতার দাবি, ‘‘বহু নারীসঙ্গ করেছেন বিজেপির ওই প্রার্থী। আমাকে ঠকিয়ে সেই সময় বিজেপির উত্তরবঙ্গের এক প্রাক্তন জেলা সভাপতির স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। তাঁর সঙ্গেই এখন থাকেন।’’ সেই নেতার মৃত্যু নিয়েও রহস্য রয়েছে বলে সুজাতার দাবি। তিনি তদন্তের দাবি তুলেছেন। সৌমিত্রের দাবি, ‘‘একটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। আইন মেনে তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছি। এতে এত জ্বালা কিসের?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy