Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

রুটমার্চে এখনও ভরসা পাচ্ছেন না বহু ভোটার

এখনও পর্যন্ত কোনও বড় গোলমাল হয়নি। তবে, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেই অনেক ভোটার নিজের ভোট নিজে দিতে পারা কিংবা আদৌ বুথ পর্যন্ত যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।

জোরকদমে টহল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। সঙ্গে রয়েছে রাজ্য পুলিশও। মঙ্গলবার গোঘাটে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ।

জোরকদমে টহল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। সঙ্গে রয়েছে রাজ্য পুলিশও। মঙ্গলবার গোঘাটে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ।

পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২৫
Share: Save:

কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। রুটমার্চও চলছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ‘ভোট-সন্ত্রাস’ দেখতে অভ্যস্ত আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দারা কি এ বার ভরসা পাচ্ছেন?

এখনও পর্যন্ত কোনও বড় গোলমাল হয়নি। তবে, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেই অনেক ভোটার নিজের ভোট নিজে দিতে পারা কিংবা আদৌ বুথ পর্যন্ত যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে গোঘাটের বহড়াশোলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ চলাকালীন এক বৃদ্ধা বলেন, “গ্রামে বাহিনীর রুটমার্চ দেখে প্রতিবারই শুরুতে ভরসা হয়, মনোবল বাড়ে। কিন্তু ভোটের দিন তো তাদের দেখা যায় না। যার শক্তি বেশি তাকেই ভোট দিতে হয়।”

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

এ দিন গোঘাটের বহড়াশোল ছাড়াও সেলামপুর, বদনগঞ্জ ইত্যাদি এলাকায় রুটমার্চ চলে। বাহিনীর সঙ্গে মহকুমাশাসক (আরামবাগ) সুভাষিণী ই, এসডিপিও (আরামবাগ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী ছাড়াও কিছু পুলিশ অফিসার ছিলেন। তাঁরা স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

পুরশুড়ার শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বাহিনীর রুটমার্চের পর ধাপধাড়ার এক ব্যবসায়ী বলেন, “খালি রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে বাহিনী। কথা বলছে না। রাস্তায় কাউকে দেখতে পেলে বাহিনীর সঙ্গে থাকা স্থানীয় পুলিশই জানতে চাইছে কোনও অসুবিধা আছে কি না। এতে কি ভরসা বাড়ে? নাকি মনের কথা বলা যায়?”

বাহিনীকে নিজেদের মনের কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন খানাকুলের পোল, বালিপুর, তাঁতিশাল, ধান্যগোড়ি প্রভৃতি এলাকার বহু মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সব ভোটারদের অনেকের অভিযোগ, বাহিনী রুটমার্চ করলে কী হবে, প্রায় প্রতিদিন সিভিক ভলান্টিয়াররাই ঘরে এসে খোঁজ নিচ্ছে। এত সাহস বাড়ানোর বদলে আরও ঘাবড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা!

এই মহকুমা থেকে ‘ভীত-সন্ত্রস্ত’ ভোটারের সংখ্যা এখনও রাজনৈতিক দলগুলির তরফে প্রশাসন বা কমিশনকে জানানো হয়নি। ‘উপদ্রুত এলাকা’ও তারা চিহ্নিত করে পাঠায়নি। এখনও পর্যন্ত ভোটকে কেন্দ্র করে কোনও পক্ষের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের কোনও অভিযোগ নেই বলে থানাগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে।

এসডিপিও(আরামবাগ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, “চারটি থানা এলাকতেই প্রতিদিন দু’বেলা করে রুটমার্চ চলছে। ভোটারদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানা হচ্ছে এবং তার প্রতিকারের ব্যবস্থা হচ্ছে। কোনও অসুবিধা হলে আমরা ফোন নম্বর দিচ্ছি।”

তবে, রুটমার্চে ‘ভোট সন্ত্রাসে’ কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছে সিপিএম। তাদের তরফে ‘সন্ত্রস্ত ভোটার’ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির দখলে চলে যাওয়া খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতি এলাকা নিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রমেন প্রামাণিকের অভিযোগ, “খানাকুল ২ ব্লক এলাকায় প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ সন্ত্রস্ত। বিজেপি হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টা থানা এবং প্রশাসনকে জানানো হবে।” বিজেপি হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 central force
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE