Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

‘রিটায়ার্ড হার্ট’ সিধু লোকসভা ভোটের মাঠে? কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগের জল্পনা পঞ্জাবে

পঞ্জাবের অমৃতসর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পর পর তিন বার বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন সিধু। ২০১৭-য় পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার।

নভজোৎ সিংহ সিধু।

নভজোৎ সিংহ সিধু। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৩০
Share: Save:

লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন ক্রিকেটার-রাজনীতিক নভজোৎ সিংহ সিধু। অমৃতসরের প্রাক্তন সাংসদকে আবার ওই কেন্দ্রে পদ্ম-প্রতীকে প্রার্থী করা হতে পারে বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে পঞ্জাব রাজনীতিতে।

পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সিধু সম্প্রতি রাজনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করেছেন। নিজস্ব উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভাও করছেন। কিন্তু পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি অমরিন্দর সিংহ রাজা-সহ একাধিক প্রথম সারির নেতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ। সম্প্রতি মোগায় সিধুর সভায় যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ স্থানীয় দুই কংগ্রেস নেতাকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সিধু আবার বিজেপিতে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে।

১৯৮৮ সালের ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত’ করার একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সিধু ১০ মাস জেলে থাকার পরে গত এপ্রিলে মুক্তি পান। তার পরেই দিল্লিতে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কার গান্ধী বঢরার সঙ্গে দেখা করে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের একাংশের বিরোধিতার জেরে এখনও তা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ দানা বাঁধছে তার দলবদলের জল্পনা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর বিজেপির হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে এসেছিলেন সিধু। পঞ্জাবের অমৃতসর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পর পর তিন বার (২০০৪ এবং ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচন এবং ২০০৭-এর উপনির্বাচন) বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৪-র নির্বাচনে তাঁকে টিকিট না দিয়ে অরুণ জেটলিকে অমৃতসরে প্রার্থী করে বিজেপি। জেটলি অবশ্য জিততে পারেননি। পঞ্জাব প্রদেশে কংগ্রেসের সবচেয়ে হেভিওয়েট নেতা তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হন জেটলি।

ঘটনাচক্রে সেই অমরিন্দর এখন বিজেপিতে। ২০১৭-য় পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের আগে তাঁরই হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সিধু। বিধানসভা ভোটে জিতে অমরিন্দর মন্ত্রিসভার সদস্যও হয়েছিলেন। হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু ক্রমশ দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। ২০২২ সালের বিধানসভা ভোটের আগে সিধুর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে দল ছাড়েন অমরিন্দর। বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টির কাছে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয় কংগ্রেস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE