পাঁচলার সভায় প্রসূন। —নিজস্ব চিত্র।
শহর এলাকায় তিনি সে ভাবে যোগাযোগ রাখেন না বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে হাওড়া সদরের সাংসদ তথা এ বারেও এই লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। শুধু বিরোধীরাই নয়, শাসক দলের একাংশের মধ্যেও এই অভিযোগ শোনা যায়। তবে, রবিবার পাঁচলায় প্রসূনকে ঘিরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাসই দেখা গেল।
হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে পড়ে গ্রামীণ এলাকার পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্র। এখানে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রসূনকে নিয়ে সেই অভিযোগ নেই। তাঁরা জানান, তাঁদের সাথে সাংসদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। সাংসদ পাঁচলায় নিয়মিত আসেন। তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় এলাকার বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে।
রবিবার পাঁচলার ধুলোর মাঠে প্রসূনের কর্মিসভা করার কথা থাকলেও তা জনসভায় পরিণত হয়। পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু প্রধন। এখন চলছে রমজান মাস। ইফতারের আগে সভা শেষ করতে হবে, এই তাগিদ থাকায় দুপুর দুটো থেকে সভা শুরু হয়েছিল। দুপুরের চড়া রোদ উপেক্ষা করে রোজা পালন করে বহু সংখ্যালঘু মহিলা
সভায় আসেন।
সভায় স্থানীয় বিধায়ক গুলশন মল্লিক বলেন, ‘‘প্রসূন আমাদের পাঁচলার ঘরের মানুষ হয়ে গিয়েছেন। রাস্তার আলো থেকে শুরু করে শ্মশান, গোরস্থান সব কিছুর উন্নতিতে তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা ঢেলে খরচ করেছেন। আমাদের প্রার্থী পাঁচলা থেকে রেকর্ড ভোট পাবেন।’’ প্রসূনও পাঁচলায় তাঁর নিবিড় যোগাযোগের কথা বোঝাতে গিয়ে বলেন, "পাঁচলাকে ভুলতে পারব না।" সভার শেষে প্রসূনের দাবি, ‘‘শুধু পাঁচলা কেন, হাওড়া শহর এলাকাতেও মানুষের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। বিরোধীরাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাদের নিজেদেরই পায়ের তলায় মাটি নেই।"
ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদ মোল্লা পাল্টা দাবি করেন, ‘‘পাঁচলার উন্নয়নে সাংসদের কোনও ভূমিকা নেই। উল্টে তিনি অনেক ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’’ এলাকার উন্নয়নে প্রসূনের কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছে বিজেপিও।
সভায় আইএসএফের প্রায় দেড়শো কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে
দেন গুলশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy