প্রশ্ন: আপনার বুথে নির্বাচনের কাজ কেমন চলছে? উত্তর: কার্যকর্তারা ভাল ভাবে কাজ করছেন বুথে। সন্ধের পরে সবাই আমায় রিপোর্ট দিচ্ছেন।
প্রশ্ন: আপনার বুথে সমস্ত কার্যকর্তাদের দায়িত্ব ঠিক করে দেওয়া হয়েছে? উত্তর: সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: হিংসা, খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে বাংলায়। সমস্যা হচ্ছে? উত্তর: মহিলারা সবাই ভোটের প্রচারে যাচ্ছি। সমস্যা হচ্ছে না।
প্রশ্নকর্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরদাতা লতিকা হালদার। মালদহের হবিবপুরের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম বার ভোটে জিতে আসা বিজেপি সদস্য। লতিকা জানান, তিনি প্রথমে হকচকিয়ে যান। প্রশ্নের বঙ্গানুবাদের ব্যবস্থা ছিল। শুনে এক-এক করে উত্তর দেন। বুধবার বিকেলে মোদীর ফোন পেয়েছেন গাজল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গাঙ্গুলি সরকারও। পঞ্চায়েত স্তরের মহিলা জনপ্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রীর ফোন নিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
উত্তর মালদহের বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ফোনে আরও উৎসাহিত হয়ে ভোট-ময়দানে ঝাঁপাবেন কর্মী-সমর্থকেরা।” লতিকার সঙ্গে পাঁচ মিনিট আর গাঙ্গুলির সঙ্গে ১২ মিনিট কথা বলেন মোদী। বিজেপি সেই ফোন-কলের অডিয়ো-ক্লিপ নিয়ে প্রচার শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী ফোনে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা নিয়েও কথা বলেন বলে দাবি। গাঙ্গুলি বলেন, “চাকরির জন্য যাঁদের টাকা দিতে হয়েছে, তাঁদের টাকা আইনি পথে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।” লতিকা বলেন, “লোকসভা ভোটে বুথ, অঞ্চল, বিধানসভা এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছনোর বার্তা দিয়েছেন উনি।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর কটাক্ষ, “কেন্দ্র প্রকল্পের টাকা বন্ধ করায় মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা প্রচারে যেতে পারছেন না। ময়দানে নামাতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করতে হচ্ছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)