রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচারে এলেও একই সঙ্গে কয়েকটি সরকারি কর্মসূচিও রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শুক্রবার আরামবাগে বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের সূচনা করেছেন তিনি। রাজনৈতিক সভায় যাওয়ার আগে দুপুর ৩টে নাগাদ তাঁকে সরকারি কর্মসূচির মঞ্চে দেখা যায়।
এই কর্মসূচিতে মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই মঞ্চে ছিলেন। এই কর্মসূচি থেকে মোদী সাত হাজার কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন।
মোদীর কর্মসূচির তালিকায় ছিল সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস ভরার প্রকল্প (এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট), কলকাতা বন্দরের নতুন কয়েকটি প্রকল্প, কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের আধুনিকীকরণের প্রকল্প। এ ছাড়া, রাজ্যের তিনটি রেল প্রকল্পেরও সূচনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলায় রেলের উন্নয়ন এমন হওয়া দরকার, যেমনটা দেশের অন্য রাজ্যে হয়েছে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিকশিত ভারত গড়ার যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে গরিব, মহিলা এবং যুবদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকবে। দেশের ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিকাশের জন্য সাত হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। এর ফলে রেল, পেট্রল এবং জলশক্তির উন্নতি হবে।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট চালু হলে কর্মসংস্থান হবে বলেও দাবি করেন মোদী। জানান, হাওড়া, হুগলি, কামারহাটি, বরানগর এলাকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে কেন্দ্রের উদ্যোগে হতে চলা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে। রেলের উন্নয়ন সম্পর্কে মোদী বলেন, ‘‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ অতীতের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। বাংলায় ১০০ স্টেশনকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।’’ পশ্চিমবঙ্গ পাঁচটি বন্দেভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মোদী। বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সহযোগিতায় বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্য পূর্ণ হবে।’’