Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

ঝড়ে লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি আসছেন মোদী, সফর ছোট করে ওই আসনে বেশি সময় দেওয়ার ভাবনা প্রধানমন্ত্রীর

রবিবারের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। আগে থেকেই জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর। তবে সফরে বালুরঘাটও ছিল।

নরেন্দ্র মোদী।

নরেন্দ্র মোদী। —ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫৩
Share: Save:

প্রথম দফাতেই লোকসভার ভোটগ্রহণ জলপাইগুড়ি আসনে। কিন্তু তার আগে আগে ভোটের প্রচার থমকে দিয়েছে টর্নেডোর তাণ্ডব। থমকে গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার স্বাভাবিক জীবনও। তবে ভোটপ্রচার তো বন্ধ রাখা যায় না। ১৯ এপ্রিল রাজ্যের তিন আসনে ভোট। সেগুলি হল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি। বৃহস্পতিবারই কোচবিহারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই জনসভার পরে জলপাইগুড়িতে তাঁর সমাবেশ রবিবার। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশাপাশি দুই আসন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জন্য একই মঞ্চ থেকে ভোটের প্রচার সমাবেশ করবেন মোদী।

তবে আগে অন্য রকম কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর। ঠিক ছিল রবিবার প্রথমে বালুরঘাটে সভা করে জলপাইগুড়ি যাবেন তিনি। তবে ঝড়ের তাণ্ডবের পরে বদলে গিয়েছে মোদীর পরিকল্পনা। ঠিক ছিল দুপুর আড়াইটের সময় বালুরঘাটে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের লোকসভা আসনে প্রচার সেরে বিকেল সাড়ে চারটের সময়ে জলপাইগুড়ি যাবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখন যা পরিকল্পনা, তাতে রবিবার বালুরঘাটে মোদীর সভা হচ্ছে না। পরিবর্তে তিনি কিছুটা আগে জলপাইগুড়ি পৌঁছে যেতে পারেন। ঝড়ে বিধ্বস্ত জেলার পরিস্থিতি নিয়ে জেলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন। ঝড়ের পরে পরেই এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদী স্থানীয় নেতা-কর্মীদের রাজনীতি ছেড়ে সেবাকাজে মন দিতে বলেছিলেন। সেই কাজ কেমন হয়েছে, রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার খোঁজখবর নিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির কাছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কোনও সূচি আসেনি বলেই জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, রবিবার ঝড়ের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি-সহ অনেক এলাকাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে দিন কৃষ্ণনগরে সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখান থেকে কলকাতা ফিরেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে রাতে বিশেষ বিমানে জলপাইগুড়ি চলে যান মমতা। সোমবার সকালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও যান। কিছুটা পরে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে কাছেই বালুরঘাটে নিজের কেন্দ্রে থাকলেও জলপাইগুড়ি যাননি সুকান্ত। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সেনাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সভাপতিকে সব জায়গায় যেতে হবে এমন কোনও কথা নেই। জলপাইগুড়িতে দলের সংগঠন খুবই ভাল। বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের প্রার্থী জয়ন্ত রায় নিজে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের পরে উদ্ধার ও সেবাকাজে যোগ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, বালুরঘাটে বসে গোটা বিষয়ে নজর রেখেছিলেন সুকান্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE