Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

‘ঘড়ি’ নিয়ে অজিতকে কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট? শরদের প্রতীক সম্পর্কেও কমিশনকে বার্তা

সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দিয়েছে, শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর নির্বাচনী প্রতীক ‘তূর্য (শিঙা) বাদক ব্যক্তি’ যেন লোকসভা নির্বাচনে অন্য কোনও দলের প্রার্থীকে বরাদ্দ না-করা হয়।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৯:৪৯
Share: Save:

লোকসভা ভোটে এনসিপির প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু সেই সঙ্গে অজিত পওয়ার গোষ্ঠীকে প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হবে, ‘বিষয়টি বিচারাধীন এবং নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহারের অধিকার বিচারসাপেক্ষ’। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সেই সঙ্গে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দিয়েছে, শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার)-এর নির্বাচনী প্রতীক ‘তূর্য (শিঙা) বাদক ব্যক্তি’ যেন লোকসভা নির্বাচনে অন্য কোনও দলের প্রার্থীকে বরাদ্দ না-করা হয়।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে ‘আসল এনসিপি’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাদের এনসিপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারেরও অধিকার দেওয়া হয়। শরদের গোষ্ঠীর জন্য নতুন নাম এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘তূর্য (শিঙা) বাদক ব্যক্তি’ বরাদ্দ করা হয়েছিল কমিশনের তরফে।

সেই আদেশের বিরুদ্ধে শরদ গোষ্ঠীর একটি আবেদন এখন শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে তারা অভিযোগ তুলেছিল, অজিত গোষ্ঠী পশ্চিম মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় তাদের কর্মসূচিতে শরদের নাম এবং ছবি ব্যবহার করছে। গত সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট শরদের নাম এবং ছবি ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিল অজিত গোষ্ঠীকে। শুধু তাই নয়, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি বিশ্বনাথনকে বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলেছিল, নীতিগত ভাবে ‘ঘড়ি’ নির্বাচনী প্রতীকও ব্যবহার করা উচিত নয় অজিতগোষ্ঠীর।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুলাই অজিতের বিদ্রোহের পরেই এনসিপির অন্দরের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব লাভের পরে পরিষদীয় দলের অন্দরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হতে থাকে। সাংসদদের একাংশও তাঁর দিকে যান। শেষ পর্যন্ত কমিশনের নির্দেশে দলের নিয়ন্ত্রণ গিয়েছে তাঁর হাতে।

কমিশনের রায়ের পরেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরভেকর অজিত গোষ্ঠীকে ‘এনসিপি পরিষদীয় দল’ হিসাবে মর্যাদা দেন। তবে তিনি জানান, শরদ অনুগত বিধায়কদের পদ খারিজ করা হবে না। সুপ্রিম কোর্টও কমিশনের সিদ্ধান্তে কোনও স্থগিতেদেশ দেয়নি। তবে মঙ্গলবার শরদগোষ্ঠীর স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে তাদের নির্বাচনী প্রতীক অন্য কাউকে বরাদ্দ না করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE