কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলল আয়কর সংক্রান্ত আপিল ট্রাইবুনালের রায়। কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগের পদক্ষেপের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, শুক্রবার আপিল ট্রাইবুনাল তা খারিজ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন অভিযোগ করেছিলেন, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির কাছে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে ২১০ কোটি টাকা জরিমানার দাবি জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে। বিষয়টি আয়কর ‘অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল’-এর বিচারাধীন। এর মধ্যেই বেআইনি ভাবে পদক্ষেপ করে আয়কর দফতর দলের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে দেওয়া হয়। তবে সে দিন বিকেলেই আপিল ট্রাইবুনালের নির্দেশে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন চালু হয়েছিল।
এর পর ২১ ফেব্রুয়ারি মাকেন অভিযোগ করেন, আয়কর দফতর নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তাদের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৬৫ কোটি টাকা জরিমানা হিসাবে কেটে নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে আপিল জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। কিন্তু শুক্রবার তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রের খবর ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং ৩০ কোটির সুদ অর্থাৎ মোট ১৩৫ কোটি কংগ্রেসের কাছে তাদের প্রাপ্য।
কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনী বন্ড বাতিল হতেই বিজেপি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। সেই কারণে বিরোধী দলকে নিশানা করেছে মোদী সরকার। মাকেনের দাবি, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অতি সামান্য অনিয়মের অভিযোগে (নগদ ১৪.৪০ লাখ টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়া এবং রিটার্ন জমা দিতে ৪৫ দিন দেরি হওয়ার অভিযোগ) ২১০ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করেছিল আয়কর দফতর। যা স্পষ্টতই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে তাঁর অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy