—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP
ভোট শুরু হতে এখনও ঢের দেরি। এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের প্রশিক্ষণ। আর তার জেরে স্কুলগুলোতে ফের পঠনপাঠনের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ।
এমনিতেই স্কুলগুলিতে দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সামনেই প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন। এই অবস্থায় তাঁরা ভোটের প্রশিক্ষণে বা ভোটের কাজে চলে গেলে কী হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকেরা। প্রশিক্ষণের দিনগুলি প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের পরে করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁরা আর্জিও জানিয়েছেন।
শিক্ষকদের একাংশের কথায়, সূচি অনুযায়ী চতুর্থ দফায় ১৩ মে, পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফায় ২৫ মে এবং সপ্তম দফায় ১ জুন ভোট হবে। এখনও দেড় থেকে দু’মাস দেরি। অথচ ওই দফার ভোটের জন্য এখন থেকেই প্রশিক্ষণের জন্য তলব পড়েছে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষকদের।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদারের কথায়, “আলিপুর সদর, বারুইপুর-সহ কিছু এলাকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের দিন পড়েছে ৬ থেকে ৮ এপ্রিল। ৭ এপ্রিল রবিবার। ৬ এবং ৮ এপ্রিল শনি ও সোমবার প্রথম পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। শিক্ষকেরা ভোটের প্রশিক্ষণে চলে গেলে কী করে পরীক্ষা হবে? ভোট হতে দু’মাসেরও বেশি দেরি রয়েছে। তা হলে কেন প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের পরে প্রশিক্ষণ হবে না?" শিক্ষকদের অভিযোগ, এমনিতেই অনেক স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটেছে। এখন যদি প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষকেরা চলে যান, তা হলে ফের পঠনপাঠন এবং পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটবে।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগীর দাবি, “এমন করে প্রশিক্ষণের দিন ফেলা হয়েছে, যাতে স্কুলের পঠনপাঠনে বিঘ্ন না ঘটে। এর জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শনি ও রবিবার ফেলা হয়েছে। কেউ যদি ওই দু’দিনের মধ্যে কোনও দিন অনুপস্থিত থাকেন, তখন তাঁকে অন্য তারিখে আসতে হবে।” যদিও শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, প্রচুর স্কুলে শনিবার পরীক্ষা আছে। সোমবারও বহু শিক্ষকের প্রশিক্ষণের তারিখ পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy