(বাঁ দিকে) রাজ্য সরকারের স্টিকার দেওয়া সেই গাড়ি এবং মহুয়া মৈত্র (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকারের স্টিকার দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিবঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। শনিবার ই-মেল মারফত তারা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছে।
শুক্রবার নদিয়ার জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী মহুয়া। বিজেপির অভিযোগ, তার পরে জেলা প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে তিনি যে গাড়িতে ওঠেন, সেটিতে রাজ্য সরকারের স্টিকার দেওয়া ছিল। সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো এবং ছবি দিয়ে এ দিন নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি না, এক জন বহিষ্কৃত সাংসদ, যিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তিনি কী ভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। রাজ্য প্রশাসনই বা কী ভাবে তাঁকে এই সুযোগ করে দিচ্ছে।” তাঁর দাবি, “গাড়িতে ওঠার আগে মহুয়া মৈত্র যখন বেরিয়ে আসছেন, তাঁর পাশে নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও দেখা গিয়েছে।”
বিজেপির তরফে যে ভিডিয়ো জমা দিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানানো হয়েছে, তাতে গাড়ির ভিতরে মহুয়ার সঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীরকেও বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। বিজেপি নেতাদের প্রশ্ন, তিনিই বা সেখানে কী করে বসছেন? তাঁদের আরও অভিযোগ, কৃষ্ণনগর শহরে তৃণমূলের তরফে পূর্ত দফতরের জায়গায় যে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল, তা এখনও খোলা হয়নি। তাতেও বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে তাদের দাবি।
এ দিন বেশ কয়েক বার ফোন করা হলেও মহুয়া মৈত্রের সাড়া পাওয়া যায়নি। মোবাইলে পাঠানো মেসেজের উত্তরও দেননি। ফোন ধরেননি জেলা সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীরও। আর তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy