E-Paper

বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ, নির্বাচনী কনভেনার বিকাশ সিংহরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৮
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও মহিলাদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার হাড়োয়া থানা এলাকার ঘটনা। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ মানেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সমর্থনে বুধবার হাড়োয়ার গড়গড়ি গ্রামে দলীয় পতাকা ও ব্যানার লাগান দলের কর্মীরা। অভিযোগ, সেই ব্যানার খুলে দেয় তৃণমূলের লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে ওই এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। বাঁশ ও লাঠি নিয়ে মারামা শুরু হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, ওই ঘটনার পর রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা স্থানীয় বিজেপি কর্মী পলাশ সরকারের বাড়িতে চড়াও হয়। ভাঙচুরের পাশাপাশি বাড়ির মহিলাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ, নির্বাচনী কনভেনার বিকাশ সিংহরা। এ দিনই পাশের মানিকগঞ্জ এলাকায় আরও এক বিজেপি নেতা সুশান্ত মণ্ডলের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি সূত্রের খবর, আগের দিন রাতের গোলমালে উপস্থিত ছিলেন সুশান্ত।
বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, “নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে তৃণমূলের লোকজন বিজেপি কর্মীদের মারধর করে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। ওরা যতই চেষ্টা করুক, জনগণ আমাদের পাশে আছেন।”

স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিলন সর্দারের দাবি, “এই এলাকায় বিজেপির কোনও ভোট নেই। মিথ্যে এক কর্মীর বাড়ির দরজা ভেঙে সংবাদমাধ্যমের সামনে নেতারা লম্বা লম্বা বক্তব্য রাখছেন। সাধারণ মানুষ সব বোঝেন।” পুলিশ জানিয়েছে, ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।

অন্য দিকে, বুধবার রাতে হাড়োয়া থানার রাখাল চণ্ডীপুর এলাকায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর ও মহিলাদের মারধরের অভিযোগ ওঠে দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বাড়ির মালিক শুকদেব মণ্ডলের দাবি, “আমি বিরোধী দল করি বলে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ চালিয়েছে।” বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের অবশ্য দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।” পুলিশ তদন্ত করছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC BJP haroa

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy