Advertisement
E-Paper

ফোন পেলেই সন্ত্রাস রুখবেন, দাবি অধীরের

অল্প সময়ের ঘোষণাতেই মাঠ কানায় কানায় ভর্তি। জনতার হাতে উড়ছে হাত চিহ্ন ও সিপিএমের পতাকা। মঞ্চে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বস্তুত বাঁকুড়া জেলায় যেখানেই ইতিপূর্বে অধীর সভা করেছেন, সেখানেই মাঠে ভাল ভিড়ই নজরে পড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ০০:২৩

অল্প সময়ের ঘোষণাতেই মাঠ কানায় কানায় ভর্তি। জনতার হাতে উড়ছে হাত চিহ্ন ও সিপিএমের পতাকা। মঞ্চে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বস্তুত বাঁকুড়া জেলায় যেখানেই ইতিপূর্বে অধীর সভা করেছেন, সেখানেই মাঠে ভাল ভিড়ই নজরে পড়েছে। বুধবার দুপুরে কোতুলপুরের জোট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় সাঁতরার সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভাতেও সেটাই দেখা গেল।

মঞ্চে প্রত্যাশিত ভাবে অধীর তৃণমূল সরকারকে বিঁধেছেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পাল্টে রাজ্য সরকার নিজেদের প্রকল্প বলে প্রচার করছে। তিনি এই সরকারকে চোরেদের ও মিথ্যাবাদীর সরকার বলে তোপ দেগেছেন।

কোতুলপুর, জয়পুর এলাকায় বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বারবার সিপিএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলত সিপিএম। অধীরবাবু জানান, এই সব এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ঘটনা হল, রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর এলাকায় দুই বাম কর্মী খুন হন। এ কথা মাথায় রেখেই অল্প সময়ের বক্তৃতায় অধীর নিজের দলের প্রার্থীকে বলে যান, ‘‘অক্ষয় ফোন করবি। সন্ত্রাস রুখে দেব।’’

এই জনসভা নিয়ে এলাকায় আগে তেমন প্রচার না থাকলেও প্রায় হাজার ছয়েক মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। মঞ্চে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তাপস চক্রবর্তী, জয়পুরের সিপিএমের জোনাল সম্পাদক বিশ্বনাথ দে, কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক নীলমাধব গুপ্ত, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। মাঠেও সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের বেশ ভিড় ছিল। কয়েকজন সিপিএম কর্মী অধীরের বক্তৃতা শুনে ফেরার পথে বলেন, ‘‘অধীরবাবু গরমাগরম বক্তৃতা করেন বলে শুনতাম। সিপিএম করি বলে আগে জেলার কোথাও তিনি সভা করতে এলেও যাওয়া হয়নি। এ বার জোট হওয়ায় তাঁর বক্তৃতা শুনতে পেলাম।’’

এ দিন অধীরের সভা করার কথা দুপুর ১টায় থাকলেও তিনি চপার থেকে নামেন প্রায় আড়াইটা নাগাদ। অধীরের কথায়, ‘‘চপার নিয়ে প্রথমবার এসে সভার জায়গাটা চিনতে পারিনি। তাই বহরমপুরে ফিরে যাই। আবার বহরমপুর থেকে এখানে উড়ে আসি।’’ পুলিশ জানায়, অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ না মেলায় চপারটি প্রথমে নামতে অসুবিধায় পড়েছিল।

যদিও এ দিনই মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে সিহড় গ্রামে দুপুর দুটোয় ছিল তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার সমর্থনে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। সেখানেও চপার নিয়ে নামেন তিনি। এই কারণেই অধীরবাবুর চপার নামানো নিয়ে সমস্যা বলে দাবি করেছেন জেলা কংগ্রেস নেতা দেবু চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের পিঠোপিঠি ইচ্ছে করেই সভা নিয়েছিল তৃণমূল।’ যদিও এই দাবি উড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীর পাল্টা দাবি, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ে চপার নিয়ে এসে লোকজন না দেখে অধীরবাবু ফিরে গিয়েছিলেন। লজ্জা ঢাকতে এখন ওঁরা চপারের সমস্যার গল্প করছেন।’’

Assembly Election 2016 Adhir Chowdhury Congress Terror resist
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy