Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

সন্ত্রাস রুখে দিল আরান্দা

তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটের দিন সকাল থেকে তাঁর কর্মীরা বিরোধীদের গুড়-বাতাসা দেবেন।কিন্তু ভোট শুরু হতেই বদলে গেল বীরভূমের শাসকদলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ‘গুড়-বাতাসা’।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ০২:২৩
Share: Save:

তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটের দিন সকাল থেকে তাঁর কর্মীরা বিরোধীদের গুড়-বাতাসা দেবেন।

কিন্তু ভোট শুরু হতেই বদলে গেল বীরভূমের শাসকদলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ‘গুড়-বাতাসা’। রূপ বদলে রবিবার সেই গুড়-বাতাসা অনুব্রতবাহিনীর দাপট হয়ে দেখা দিল রামপুরহাটে।

এ দিন রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের আরান্দাতে তৃণমূলের মোটরবাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যা শুনে জেলার বাসিন্দারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন যতই অনুব্রতর গতিবিধির উপর নজরদারি করুক না কেন, কেষ্ট (অনুব্রতের ডাক নাম) নিজের কাজটা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে নির্বিঘ্নেই করতে চেয়েছেন।’’ তবে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের সামনে শাসকদলের ওই বাহিনী তেমন সুবিধা করতে পারেনি বলে এলাকাবাসীর দাবি। মোটরবাইক বাহিনী যাতে আর ঢুকতে না পারে সে জন্য গ্রামে ঢোকার দু’টি রাস্তায় পাহারায় বসেছিলেন স্থানীয় যুবকেরা।

কী হয়েছিল আরান্দা গ্রামে এ দিন?

এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, এ দিন ভোটদান শুরু হওয়ার পর থেকে বেলা যত গড়িয়েছে ততই দাপট বেড়েছে তৃণমূলের মোটরবাইক বাহিনীর। গ্রামবাসীর অভিযোগ, তৃণমূলের মোটরবাইক বাহিনী হুমকি দিয়ে গিয়েছে, তৃণমূলকে ভোট না দিলে ২ টাকা কিলো চাল-সহ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বেশ ককেকজন বহিরাগত খাতাকলম নিয়ে বসে ভোটারদের নাম মেলাচ্ছেন। কারা ভোট দিল না, তাও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানেও হুমকি, ভোট না দিলে সব পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় ১০-১২টি মোটরবাইক নিয়ে এক দল যুবক আরিন্দায় হুমকি দিয়ে যায় বলে তাঁদের অভিযোগ। ওই গ্রামের বাসিন্দা রূপলাল সোরেনের অভিযোগ, ‘‘এ দিন সকালে এলাকায় আসে মোটরবাইক বাহিনী। শাসকদলকে ভোট না দিলে সব সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তারা হুমকি দিতে থাকে। পরে গ্রামবাসীরা রুখে দাঁড়ালে তারা পালিয়ে যায়।’’ আদিবাসী অধ্যুষিত ওই গ্রামে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১,০৬০। এ বার রামপুরহাট কেন্দ্রে আদিবাসী গাঁওতার প্রার্থী হয়েছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের রবীন্দ্রনাথ সোরেন। যারা ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসকে সর্মথন করেছিল। অভিযোগ, এ বার শাসকদলের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তৃণমূলের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন তিনি। তাই গাঁওতার সমর্থকদের তৃণমূলের বাহিনী চোখ রাঙাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ সোরেনের অভিযোগ, ‘‘প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই গ্রামে যাতে মোটরবাইক বাহিনী ঢুকতে না পারে, তাই গ্রামবাসীরা পাহারা দিয়েছেন।’’

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। রামপুরহাটের তৃণমূল প্রাথী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ওই এলাকাতে তৃণমূলের শক্তি বিরোধীদের থেকে অনেক বেশি। হার নিশ্চিত বুঝে বিরোধীরা তাই মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

assembly election 2016 terror
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE