মাহে আলম। —নিজস্ব চিত্র।
দলের সমস্ত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলেও ভোটপ্রচারে তাঁকে ডাকা হয়নি। শনিবার এমন দাবি করলেন মুর্শিদাবাদের যুব তৃণমূল নেতা মাহে আলম। তাঁর অভিযোগ, বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জীবনকৃষ্ণ সাহা প্রচারের কাজ থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন। এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মাহে। কী কারণে তাঁকে প্রচারের কাজ থেকে দূরে রাখা হয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি। যদিও মাহের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ।
শাসকদলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ পেতে থাকে। এ বার সেই তালিকায় জুড়ল বড়ঞা বিধানসভা এলাকার নাম। খোদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন বড়ঞা ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি। তাঁর কথায়, “২০১১ সাল থেকে আমি তৃণমূল করি। দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। তবে বড়ঞা আসনে জীবনকৃষ্ণ প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আমাকে ভোটের প্রচার থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।”
ঠিক কী কারণে তিনি ভোটপ্রচারে যেতে পারছেন না, সে প্রশ্ন তুলেছেন মাহে। এ নিয়ে জেলা তথা রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
শনিবার মাহে দাবি করেন, তৃণমূলের কঠিন পরিস্থিতিতে দলের সমস্ত নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোট, স্কুল পরিচালন কমিটি, সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিরোধী শূন্য বোর্ড গঠনের দক্ষতা দেখিয়েছেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনে বড়ঞা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জীবনকৃষ্ণ তাঁকে ভোটপ্রচারের কাজে বাধা দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, “জীবনকৃষ্ণ বলেছেন যে একুশের নির্বাচনে মাহে আলমকে ডাকা যাবে না। প্রার্থী হওয়ার পর তিনি নিজে কখনই আমাকে ফোন করেননি। উল্টে আমি তাঁকে ফোন করেছিলাম। তবে তিনি আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন।” তাঁর প্রশ্ন, “কী কারণে আমাকে নির্বাচনের কাজে ডাকা যাবে না, সেটা জানতে চাই।”
যদিও মাহের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেছেন জীবনকৃষ্ণ। উল্টে মাহেকে দক্ষ সংগঠক বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এমনকি, তাঁর হয়ে ভোটপ্রচারেও মাহেকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy