Advertisement
E-Paper

ঘরহারাদের পাশে দাঁড়াতে আন্দোলনে নামল জোট

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে কোচবিহারে আন্দোলনে নামল বাম গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ জোট। বুধবার কোচবিহারে জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৬ ০২:৩১

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে কোচবিহারে আন্দোলনে নামল বাম গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ জোট। বুধবার কোচবিহারে জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেন তাঁরা। দিনভর অবস্থান বিক্ষোভের পর বিকেল নাগাদ আন্দোলনকারীরা অতিরিক্ত জেলাশাসক চিরঞ্জীব ঘোষের কাছে স্মারকলিপি দেন। ওই স্মারকলিপিতে সন্ত্রাস বন্ধ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দোষীদের গ্রেফতার, সাবেক ছিটমহল এলাকায় অত্যাচার বন্ধের মতো একাধিক দাবি জানান হয়। পরে অবশ্য অনির্দিষ্ট কালের জন্য ডাকা অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক চিরঞ্জীব ঘোষ বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

জোট নেতৃত্বের অভিযোগ, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে জেলা জুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। জোটের অফিস দখল, ভাঙচুর, সমর্থকদের জরিমানা, মারধর, সম্পত্তি লুঠ কিছুই বাদ নেই। সাবেক ছিটমহল এলাকাতেও শাসক দলের সন্ত্রাস চরম আকার নিয়েছে। পুলিশ, প্রশাসনকে বারবার বলেও আখেরে কাজ হচ্ছে না। পরিস্থিতির জেরে অনেকে নিজের বাড়িতে পর্যন্ত থাকার সাহস পাচ্ছেন না। সিপিএমের জেলা দফতরের পাশাপাশি বক্সিরহাট লাগোয়া অসমের হালাকুরা জোট সমর্থকদের অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন। বাধ্য হয়েই প্রশাসনের নজর কাড়তে এ দিন অনির্দিষ্টকালের অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। বিকেল নাগাদ প্রশাসন সন্ত্রাস বন্ধের ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়ায় আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়। এরপরেও জোটের কর্মী সমর্থকদের উপর সন্ত্রাসের ঘটনা হলে বৃহত্তর আন্দোলন করার হুমকি দিয়েছেন তারা।

সিপিএম জানিয়েছে, প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে বলেই অনির্দিষ্টকালের অবস্থান তুলে নেওয়া হয়। তারপরেও কাজ না হলে জোট নেতৃত্ব আলোচনা করে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক পরেশ অধিকারী বলেন, “২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের সময়ের থেকেও এ বার তৃণমূলের সন্ত্রাসের মাত্রা বেশি। গোলমালে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে। প্রশাসন ওই সমস্ত ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে জেলা জুড়ে আইন অমান্য আন্দোলন করা হবে।”

সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব অবস্থানে সামিল কংগ্রেসও। কোচবিহার জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “সন্ত্রাসের জেরে বক্সিরহাট, মানসাই, বালাভূত এলাকার বহু সমর্থককে বাড়িঘর ছেড়ে অসমের হালাকুরা এলাকার একটি স্কুলে আশ্রয় নিতে হয়েছে। অথচ প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।” ওই কর্মসূচিতে সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক তারিণী রায়, দলের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা দীপক সরকার যুব কংগ্রেস নেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিরোধীদের তোলা সমস্ত অভিযোগকেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সন্ত্রাসের কোনও ঘটনাই নেই। তৃণমূলের বিপুল বিজয়কে ম্লান করতে সবটাই জোট নেতৃত্বের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”

assembly election 2016
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy