—ফাইল চিত্র।
এ বার সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল সিপিএম।
বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূলের বিধায়ক সব্যসাচী ক্যামেরার সামনেই স্বীকার করেছেন, সিন্ডিকেটের ছেলেদের মদতেই তিনি ভোট করেন। তারাই তাঁর হয়ে পোস্টার, ব্যানারের ব্যবস্থা করে। সিন্ডিকেটের ব্যবসায় হাত দিতে গেলে সরকার উল্টে যাবে। আজ সিপিএমের তরফে নীলোৎপল বসু নির্বাচন কমিশনের কাছে জন প্রতিনিধিত্ব আইনে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। অভিযোগ করা হয়, বিধাননগরের সাম্প্রতিক কুখ্যাত নির্বাচন রাজ্যের ভোটে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। এ বার সব্যসাচী নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন, সিন্ডিকেটের তরফেই তাঁকে ভোটের খরচ ও সাহায্য জোগান দেওয়া হয়।
সিন্ডিকেটের সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজশের পাশাপাশি চিট ফান্ড সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তোলা হয়েছে কমিশনের কাছে। উদাহরণ হিসেবে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় পৈলান চিট ফান্ড সংস্থার কর্তা চন্দন চক্রবর্তীর হাজির থাকার প্রমাণ পেশ করা হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, প্রতারিত মানুষেরা থানায় অভিযোগ জানালেও তৃণমূল নেতাদের চাপে পুলিশ গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে সমঝোতাসূত্র তৈরি করে। চন্দনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নীলোৎপলের দাবি, চিট ফান্ড সংস্থাগুলি ভোটে তৃণমূলকে সাহায্য করছে বলে যে সিপিএম আগেই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল, এ’টি তারই প্রমাণ।
প্রথম দফায় ভোটগ্রহণের সময় বেশ কিছু বুথে একশো শতাংশ ভোট পড়া নিয়েও কমিশনের কাছে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। ভোটগ্রহণের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটের হারের হিসেব ও তার পরের দিনের চূড়ান্ত হিসেবের মধ্যে বিরাট পার্থক্য নিয়েও কমিশনকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy