দক্ষিণ কলকাতায় ফের মিছিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্ত সেতু থেকে শুরু হওয়া মিছিল পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে শেষ হচ্ছে বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে। মিছিল শুরুর আগেই দলের কর্মীদের প্রতি তৃণমূল নেত্রীর আহ্বান, নির্বাচন কমিশন বা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই। নির্ভয়ে ভোট করান।
বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে শুধু দক্ষিণ কলকাতাতেই এই নিয়ে চারটি মিছিল করে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগের কোনও নির্বাচনেই মমতাকে তাঁর খাসতালুকে এতগুলি মিছিল করতে হয়নি। বৃহস্পতিবার এই মিছিল শুরু হয় সুকান্ত সেতু থেকে। সেখানে মঞ্চও তৈরি করা হয়েছিল। মিছিল শুরুর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোট ভাষণ দেন। দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রতি তাঁর মূল আহ্বান ছিল, ভয় কাটিয়ে পুরোদমে ‘ভোট করান’ পরবর্তী দফার ভোটে। নির্বাচন কমিশনের কড়াক়ড়িতে তৃণমূলের ভোট মেশিনারি যখন প্রায় অকেজো, তখন মমতা নিজে সরাসরি দলের ভোট মেশিনারিকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানালেন। তিনি বলেন, ‘‘এ বারের ভোটে দিল্লির সন্ত্রাস চলছে। জিততে না পারার ভয়ে বলছে কারফিউ করে দাও। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই। ১৪৪ ধারাকে ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই। নির্ভয়ে ভোট করান।’’
আরও পড়ুন:
চড় মারুন কিন্তু চোর বলবেন না: মমতা
মমতার মিছিল এ দিন যাদবপুর, কসবা, ভবানীপুর, রাসবিহারী ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে গিয়েছে। ফলে যাদবপুরের প্রার্থী মণীশ গুপ্ত, রাসবিহারীর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, কসবার জাভেদ খান এবং বালিগঞ্জের সুব্রত মুখোপাধ্যায় মিছিলে যোগ দেন। মিছিলে ছিলেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলররাও। তবে এই মিছিল সবচেয়ে বেশি করে আলোচনায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের কারণে। নিজের খাসতালুকে নির্বাচনী প্রচার যে দিন শেষ হচ্ছে, সে দিন দলের কর্মীদের প্রতি তৃণমূল নেত্রী যে আহ্বান জানালেন, তা মোটামুটি কমিশনের বিরুদ্ধে জেহাদ গো,ণার সামিল। কমিশনের কড়া নজরদারিতে যদি ভোট হয়, তা হলে আপত্তি কোথায়? ভোট তো তৃণমূলের বহু পুরনো দুর্গ দক্ষিণ কলকাতায়। সেখানে ‘ভোট করানো’র কী প্রয়োজন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তা হলে কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নিজের খাসতালুকেও স্বস্তিতে নেই? বিরোধীরা বলছেন, নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না বলেই নির্বাচন কমিশনকে অগ্রাহ্য করে ভোট করানোর জন্য কর্মীদের মরিয়া আহ্বান জানালেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy