তাঁকে ধরলেই পৌঁছনো যাবে শাসক দলের খাসমহলে। কারণ সকলকেই তিনি ‘দেখেন’।
গোপন ক্যামেরায় যাঁর বক্তব্যের নির্যাস ওপরের লাইনগুলো, তিনি বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার সৈয়দ মোস্তাফা হোসেন মির্জা।
মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিমের পর এই আইপিএসের সঙ্গে কথোকথনের অসম্পাদিত ফুটেজও শনিবার প্রকাশ করেছে নারদ নিউজ। আনন্দবাজারের তরফে ফুটেজের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। মির্জা ফোন তোলেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি।
আগের ফুটেজে মির্জাকে বলতে দেখা গিয়েছিল, ‘দাদা’র (মুকুল রায়) জন্য ‘৬০’ জোগাড় করে দিয়েছেন তিনি। এ দিনের ফুটেজে দেখা যায়, তৃণমূল নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকে ফোন করছেন মির্জা। ফোনে তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের দমদমের প্রার্থী (সৌগত রায়)-এর জন্য কিছু ভাল করতে চাই। তাঁকে বল, তাঁর জন্য কিছু স্পনসর করিয়ে দিতে চাই। দাদার জন্য যা করার করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওঁর জন্য আলাদা।’’ ও দিক থেকে কিছু প্রশ্ন আসে। যা শুনে মির্জার জবাব, ‘‘দাদা বলেছে বলেই তো শুভেন্দু অধিকারীকে করিয়ে দিয়েছি, কাকলিকে করিয়ে দিয়েছি, সুলতান আহমেদকে করিয়ে দিয়েছি। মদনদা নেই, কিন্তু মদনদাকে করিয়ে দিয়েছি।’’ এই ফুটেজ গত লোকসভা ভোটের ঠিক আগেকার বলে নারদের দাবি। অনেকের মতে, ‘মদনদা নেই’ বলতে মির্জা সম্ভবত বুঝিয়েছেন, মদন ওই ভোটে প্রার্থী নন।
ফুটেজে মির্জার আরও দাবি, তিনিই বর্ধমানের স্বপন দেবনাথকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। সেই কৃতজ্ঞতায় মন্ত্রী এখনও তাঁকে প্রণাম করেন। এ-ও বলেছেন, ‘‘আসানসোলে মলয় ঘটক নোংরা খেলা খেলছেন। নির্বাচনের খরচ বাবদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১২ লাখ তুললেও কাউকে দেননি। দাদাকে বলেছি।’’
‘দাদা’ সম্পর্কেও অবশ্য মির্জার দাবি কম নয়। ফুটেজে তিনি বলেছেন, মুকুল সিবিআইয়ের ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে চান বলে তাঁর কাছে ‘খবর ছিল’। রাজ্য তখন সারদা নিয়ে তোলপাড়। মুকুলকে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, সিবিআইয়ে তাঁর এক প্রভাবশালী বন্ধুর বন্ধু আছেন। মুকুল চাইলে তিনি ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু মুকুল আর শেষমেশ সিবিআইয়ের চৌকাঠ মাড়াননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy