মানস মজুমদার। — মোহন দাস
একটানা ১৯৮২ সাল থেকে বামেদের দখলে থাকা গোঘাট বিধানসভা আসনটিও এবার হাতছাড়া হল বামেদের। আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা কেন্দ্র গোঘাট, আরামবাগ, খানাকুল এবং পুরশুড়ায় বড় ব্যবধান নিয়ে জাঁকিয়ে বসল তৃণমূল। সাফল্যে উদ্বেল খানাকুলের তৃণমূল প্রার্থী ইকবাল আহমেদ সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেই ফেললেন, “নারদা-সারদা দেখিয়ে কিছুই করতে পারল না বিরোধীরা। জোট-ঘোঁট সব ভোগে চলে গেছে। এটা মানুষের জয়, দিদির কাজের জয়।”
গোঘাট কেন্দ্র থেকে জেতা তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদার পৌনে ১২ টা নাগাদ কোনওমতে মহকুমা শসকের হাত থেকে নিজের শংসাপত্র নিয়েই গোঘাটের মান্দারন মাজারে প্রণাম করতে ছুটলেন। যাওয়ার আগে বললেন, “৩৫ বছর পর গোঘাটকে বামেদের কবল থেকে উদ্ধার করে দিদিকে উপহার দিতে পেরেছি।”
পুরশুড়ার তৃণমূল প্রার্থী এম নুরুজ্জামান বলেন, “কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে কর্মীদের সংযত থাকতে বলেছি। এই জয় তো মানুষেরই জয়।” আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার বক্তব্য-“মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই একমাত্র ভরসা করেন তা প্রমান হয়ে গেল। এখন এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাই আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে চ্যালেঞ্জ।”
তৃণমূলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত জোট প্রার্থী আরামবাগের সিপিএমের অসিত মালিক, খানাকুলের সিপিএমের ইসলাম আলি খান, গোঘাটের ফরওয়ার্ড ব্লকের বিশ্বনাথ কারক এবং পুরশুড়ার কংগ্রেসের প্রতীম সিংহ রায়ের বক্তব্য, “মানুষের রায় মেনে নিয়েছি। মানুষ যাঁদের ক্ষমতা আনলেন তাঁদের কাছে আবেদন ভোটের ফল ঘোষণার পর চারদিকে হিংসার যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তা রুখতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিন। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করুন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy