ভোটটা ছিল হ্যাঁ-দিদি বনাম না-দিদির। নির্বাচন কমিশনের তৎপরতায় ভোটে ভূতের উপদ্রবও ছিল না, জলও মেশেনি। ইভিএম খুলতেই বোঝা গেল, বাংলা বিপুল ভাবে হ্যাঁ-দিদির পক্ষেই। একা লড়েই তৃণমূল ২০০-রও বেশি আসন দখল করতে চলেছে। ভোটপ্রাপ্তির হার অনেকখানি বাড়িয়ে নিয়ে একক ক্ষমতায় তৃণমূল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে।
গণনার গতিপ্রকৃতি বলছে, রাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে উঠে আসছে কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের চেয়ে যোজন পিছনে তারা। বামেরা আরও কোণঠাসা। আসনসংখ্যার বিচারে তারা তৃতীয় স্থানে নেমে যেতে চলেছে। অন্য দিকে শতাংশের বিচারে ভোট কমলেও বেশ কিছু আসন বাড়িয়ে নিচ্ছে বিজেপি।
প্রথমেই পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকালে। তাতেও বিরোধীদের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। ইভিএম খুলতেই সেই ব্যবধান আরও বাড়ে। তৃণমূল দ্রুত ১০০ ছাড়িয়ে যায় এবং এগোতে থাকে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার দিকে। তৃণমূল যে ভাবে জোটের দ্বিগুণেরও বেশি আসনে এগিয়ে গিয়েছে, তাতে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের পক্ষে বিপুল সমর্থনের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বাম-কংগ্রেসের জোট রীতিমতো প্রত্যাখ্যানের মুখ দেখতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গে।
জোট প্রার্থীরা যে সব আসনগুলিতে এগিয়ে রয়েছেন, সেগুলি মূলত উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট পকেট ছাড়া জোটের সাফল্য পর্যন্ত তেমন চোখে পড়েনি। তৃণমূলের ভোটে একটুও ভাগ বসাতে পারেননি বিরোধীরা।
সূর্যকান্ত মিশ্র নারায়ণগড়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে রয়েছেন। তিনি কখনও এগিয়ে যাচ্ছেন, কখনও পিছিয়ে পড়ছেন। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে থাকলেও ব্যবধান বেশি নয়। সবং-এ মানস ভুঁইয়া এগিয়ে সকাল থেকেই। শিলিগুড়িতে এগিয়ে অশোক ভট্টাচার্য। তবে পাশের কেন্দ্র ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে তৃণমূলের গৌতম দেব পিছিয়ে পড়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy