প্রার্থী নিয়ে কোন্দল এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছে না বিরোধী শিবির। জোটের আবহে বাম শিবিরেও প্রার্থী নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। ফরওয়ার্ড ব্লকের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য খাস কলকাতার শ্যামপুকুর আসনে প্রার্থী বদল করে রবিবার পিয়ালি পালের নাম ঘোষণা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এর আগে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে কেশব ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি আরএসএস তথা হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের পক্ষে প্রচার চালান, এই অভিযোগে বেঁকে বসেছিল ফব-র একাংশ। নতুন প্রার্থীর নাম নিয়েও নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, দলের কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিচ্ছেন ফব-র একাধিক নেতা।
কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে গত বছর পুরভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন পিয়ালি। কিন্তু তিনি এখনও ফব-র সদস্য নন। তা ছাড়া, দলের কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সিংহভাগ অংশ শ্যামপুকুরের প্রার্থী হিসাবে অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে না বেছে অন্য মুখ দিতে চাইছেন বলেই সমস্যা জটিল হচ্ছে। ফব-র কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘অশোক ঘোষ নিজেই জেলার কাজকর্ম দেখতেন। তাঁর মৃত্যুর তিন সপ্তাহের মধ্যে একটা কেন্দ্রের প্রার্থী বাছতে হিমসিম খাচ্ছেন রাজ্য নেতারা! জেলার মত এড়িয়ে অন্য প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ যদিও ফব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের ব্যাখ্যা, ‘‘ওই কেন্দ্র নিয়ে কলকাতায় দলের মধ্যেই বিরোধ আছে। এক জনকে প্রার্থী করলে অন্য একাংশ সহযোগিতা করবে না! তাই বাধ্য হয়েই আলাদা প্রার্থী বাছতে হয়েছে।’’ পরিস্থিতি দেখে সিপিএমের একাংশের আশঙ্কা, তৃণমূলের মধ্যে গোলমাল থাকা সত্ত্বেও শ্যামপুকুর আসনটা প্রায় শশী পাঁজার হাতে তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত হচ্ছে!
বিজেপি অবশ্য কড়া হাতে বিদ্রোহ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। কামারহাটিতে দলের প্রার্থী কৃশানু মিত্রকে মেনে না নিয়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন মহম্মদ আলম। তাঁর সমর্থকেরা দলীয় দফতরে বিক্ষোভও করেছিলেন। আলমকে এ দিন সাসপেন্ড করা হয়েছে। বেহালা পশ্চিমের মণ্ডল সভাপতিকে আক্রমণ করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে কাজল ভৌমিককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy