Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

‘মেরে বার করে দিন’ বলে কমিশনের কোপে সোনালি

শাসক দল কি মরিয়া হয়ে গিয়েছে? প্রশ্নটা সকালে তুলে দিলেন তৃণমূলের এক জন হেভিওয়েট প্রার্থী। সকাল থেকে তাঁকে কখনও দেখা গিয়েছে বুথের ভেতর ঢুকে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে হুঁশিয়ারি দিতে, কখনও আবার তাঁর উত্তপ্ত গলায় সিপিএমের এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়ার নির্দেশও শোনা গিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ দিয়েছে।

ফোনে হুমকি দিচ্ছেন সোনালি।—নিজস্ব চিত্র।

ফোনে হুমকি দিচ্ছেন সোনালি।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৫৫
Share: Save:

শাসক দল কি মরিয়া হয়ে গিয়েছে?

প্রশ্নটা সকালে তুলে দিলেন তৃণমূলের এক জন হেভিওয়েট প্রার্থী। সকাল থেকে তাঁকে কখনও দেখা গিয়েছে বুথের ভেতর ঢুকে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে হুঁশিয়ারি দিতে, কখনও আবার তাঁর উত্তপ্ত গলায় সিপিএমের এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়ার নির্দেশও শোনা গিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর লোক! প্রকাশ্যে বেশ কয়েক বার মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে হুমকি দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সেই সোনালি গুহ নিজের কেন্দ্র সাতগাছিয়ার একটি বুথের ভেতর কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক অফিসারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। যদিও আগের মতো তিনি নিজেকে ‘আই অ্যাম দ্য ম্যান অব দ্য চিফ মিনিস্টার! আই অ্যাম দ্য গভর্নমেন্ট’ বলে পরিচয় দেননি। এ বার ‘সিটিং এমএলএ’ এবং ‘তৃণমূল ক্যান্ডিডেট’ পরিচয়েই সীমাবদ্ধ থেকেছেন। এটা সাঁজুয়ার এক বুথের ঘটনা। এর কিছু ক্ষণ পরেই কাশীবাটি সিন্ধুময়ী জুনিয়র বেসিক স্কুলের সামনে তাঁকে ফোনে কাউকে নির্দেশ দিতে শোনা যায়। উত্তেজিত ভাবে সোনালি তাঁকে বলছেন, ‘‘মেরে বার করে দিন সিপিএমের এজেন্টকে একদম। কাশীবাটি জয়সিংহ বিদ্যালয়ে ওরা ইভিএম বিকল করে দিয়েছে। এক ঘণ্টা ধরে ভোট বন্ধ রয়েছে। ভোটাররা ভোট না দিয়ে ফিরে যাচ্ছে। নতুন ইভিএম না আসা পর্যন্ত আমি অবস্থানে বসছি।’’ সোনালির এই আচরণে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

দেখুন সেই ভিডিও

এর আগে এ দিন সকালে সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের সাঁজুয়া ৫৫ এবং ৫৬ নম্বর বুথে যান সোনালি গুহ। বুথের ভেতর ঢুকেই তিনি সোজা ইভিএম মেশিনের দিকে এগিয়ে যান। তখনই তাঁকে আটকান কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক অফিসার। সোনালিকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপ কৌন হ্যায়?’

জবাবের বদলে পাল্টা প্রশ্ন করেন সোনালি, ‘‘হু আর ইউ?’’

অফিসারও পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘হু আর ইউ?’

আরও পড়ুন:

প্রতীক-প্রেম পিছে ফেলে জোটে চলছে ভোট বদল

তখন গলার স্বর তিন পর্দা চড়িয়ে দেন বিধানসভার বিদায়ী ডেপুটি স্পিকার। বলেন, ‘ম্যায় ইহাঁকা থ্রি টাইমস সিটিং এমএলএ হু। আপ মেরে কো পুছ রহা হ্যায়, ম্যায় কৌন হু?’

অফিসার বলেন, ‘আপ নেহি যা সকতে।’

সোনালির গলা আরও তীক্ষ্ণ, ‘কিউ? জানতে হ্যায় ম্যায় কৌন হু? ম্যায় ক্যান্ডিডেট হু।’

এর পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই অফিসার তাঁকে বলেন, ‘‘আপ ইভিএম মেশিনকে পাস যা রহে থে। আপ অ্যায়সা নেহি কর সকতে।’

জবাবে সোনালি বলেন, ‘‘ম্যায় ইভিএমকে পাস নেহি, প্রিসাইডিং অফিসারকে পাস যা রহি থি।’

এর পর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দু’জনের মধ্যে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অবশ্য তা মিটেও যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

assembly election 2016 MostReadStories
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE