Advertisement
E-Paper

কড়া নিরাপত্তায় প্রচার সারলেন জোট প্রার্থী অর্ণব

ভোটের দিন অনুব্রত মণ্ডলের গুড়-জলের দাপট রোখা গিয়েছে বীরভূমে। নির্বাচন কমিশন তৎপরতা দেখালে যে অন্যত্রও অশান্তি আটকানো সম্ভব, তার উদাহরণ মিলতে শুরু করেছে কিছু কিছু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪৬
ইটখোলায় জোট প্রার্থী অর্ণব রায়ের মিছিল।

ইটখোলায় জোট প্রার্থী অর্ণব রায়ের মিছিল।

ভোটের দিন অনুব্রত মণ্ডলের গুড়-জলের দাপট রোখা গিয়েছে বীরভূমে। নির্বাচন কমিশন তৎপরতা দেখালে যে অন্যত্রও অশান্তি আটকানো সম্ভব, তার উদাহরণ মিলতে শুরু করেছে কিছু কিছু।

সোমবার ক্যানিঙের ইটখোলা পঞ্চায়েত এলাকায় বিরোধীদের মিছিল ছিল। এলাকায় বিরোধীদের বেশি ট্যাঁ-ফুঁ করতে দেওয়া হবে না আগেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। সে কথা নির্বাচন কমিশনের কানেও ওঠে। সোমবার কংগ্রেস প্রার্থী অর্ণব রায়কে সামনে রেখে বিরোধী জোটের মিছিল হয়েছে কড়া পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর প্রহরায়। যার জেরে ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থী অর্ণবাবুর মিছিলে গোলমাল এড়ানো গেল বলে মনে করছে বিরোধী শিবির। এ জন্য কমিশনকে সাধুবাদও জানাচ্ছেন তাঁরা।

এ দিন সকালে ইটখোলা অঞ্চলের বাদামতলা থেকে গোলাবাড়ি হয়ে বধুখুলা এলাকায় প্রায় দেড় হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে মিছিল সারেন জোট প্রার্থী। নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্যানিং থানার ওসি আশিস দাস, সিআই ক্যানিং রতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে র‌্যাফ, কমব্যাট ফোর্স ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা নজরদারি চালান আগাগোড়া। যদিও হামলার আশঙ্কায় তাঁদের অনেক কর্মী-সমর্থক পথে নামেননি বলে দাবি কংগ্রেস-বামেদের।

বিরোধীদের অভিযোগ, এ দিন সব রকম ‘ব্যবস্থা’ নিয়ে রেখেছিল শাসক দল। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে তাদের বাহিনী নজরদারি চালাচ্ছিল মিছিলের উপরে। আরও অভিযোগ, শাসক দলের হুমকিতে ইটখোলা পঞ্চায়েতের নানা এলাকায়, ঘুটিয়ারিশরিফের নারায়ণপুর, মাতলা-২ পঞ্চায়েতের মিঠাখালি, দাসপাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিরোধীদের দেওয়াল পর্যন্ত লিখতে দেওয়া হয়নি।


পাহারা দিতে হাজির কেন্দ্রীয় বাহিনী। ছবি: সামসুল হুদা।

অর্ণববাবু বলেন, ‘‘ইটখোলা পঞ্চায়েত এলাকায় আমরা যাতে নির্বাচনী প্রচার করতে না পারি, সে জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মিছিল করলে বোমা মারার কথাও বলেছিল। শাসকদল সব জায়গায় মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।’’

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘আমাদের উন্নয়ন দেখে মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। এলাকায় ওদের লোক না থাকায় দেওয়াল লিখতে পারছে না। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে দেওয়াল লিখবে আর এলাকায় অশান্তি করবে— আমরা তা হতে দেবো না।’’ পরেশবাবুর কটাক্ষ, ‘‘ওঁরা কী জ্যোতিষ, যে আগে থেকে বুঝে যান প্রচারে এলে বোমা মারা হবে? আসলে লোকবল না থাকায় ওঁরা আতঙ্কিত। তাই এ সব বলছেন।’’

মহকুমাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসার প্রদীপ আচার্য জাননিয়েছেন, দেওয়াল লিখতে দেওয়া হচ্ছে না বিরোধীদের থেকে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।’’ যদিও তাঁর দাবি, নিজে উপস্থিত থেকে ওই সব এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ করিয়েছেন। বিরোধীরা কোথাও দেওয়াল লিখতে বাধা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এ দিন মিছিলে হামলা হতে পারে বলেও বিরোধীরা জানিয়েছিল বলে জানাচ্ছে প্রশাসনের একটি সূত্র। সেই মতোই বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে মিছিলে।

Assembly Election Arnab Roy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy