মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিয়ে এসে শাসকদলের রোষের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধান সরণির ঠনঠনিয়ার আর্যকন্যা মহাবিদ্যালয়ের বুথে বৃহস্পতিবার বিকেলে মা-বাবাকে নিয়ে ভোট দিতে এসেছিলেন বাবুল। পুলিশ সূত্রের খবর, ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই আচমকা কয়েক জন তৃণমূলকর্মী বাবুলকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে থাকেন,‘আপনি এখানে কেন? এখানে কী করছেন?’’ পরে একদল তৃণমূল সমর্থক যুবক বাবুলকে ঘিরে বচসা শুরু করে দেন।
বাবুলের দাবি, ওই যুবকেরা তাঁকে কটু কথা বলতে থাকেন। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে তাঁর উদ্দেশ্যে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, তখন হঠাৎই ওই যুবকদের তাড়া করেন মন্ত্রী। সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও কোনও পুলিশকর্মী ছিলেন না। প্রতক্ষ্যদর্শী এক যুবক জানান, ওই যুবকদের তাড়া করেন বাবুল। প্রায় ১০০ মিটার দৌড়ে তাকে ধরে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাবুল। প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ, ওই তৃণমূল সমর্থক মত্ত অবস্থায় ছিলেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটার না হয়েও বাবুল এলাকায় এসে লোকজন নিয়ে ভিড় জমাচ্ছিলেন। তাই তাঁরা এর বিরোধিতা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার মাঝেই সেখানে পৌঁছন জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী স্মিতা বক্সী এবং তাঁর স্বামী স়ঞ্জয় বক্সী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন তৃণমূলপ্রার্থীও। স্মিতার দাবি, বাবুল ওই কেন্দ্রের ভোটার নন। তিনি ওখানে এসে নিয়মবিরুদ্ধ
কাজ করেছেন। বাবুল অবশ্য দাবি করেন, তিনি ওই কেন্দ্রেরই ভোটার। বুথে থাকা শাসকদলের এজেন্টরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। ভোটদানের সময়ে তাঁকে কেউ কোনও বাধাও দেননি।
এর পরেই ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরাট দল। বাবুলের অভিযোগ, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের পাল্টা দাবি, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কোনও তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেননি।
তবে কেন তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন না? বাবুলের উত্তর, কলকাতা পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তাই তাদের উপর কোনও ভরসা তাঁর নেই। যা জানানোর নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy