Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Derek O'Brien

Bengal Polls: নন্দীগ্রামে ৪টি বাড়িতে বহিরাগত জড়ো করেছেন শুভেন্দু, ঠিকানা ধরে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

দলের তরফে কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

ডেরেক ও’ব্রায়েন ও  শুভেন্দু অধিকারী।

ডেরেক ও’ব্রায়েন ও শুভেন্দু অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২১ ১০:৪৫
Share: Save:

নন্দীগ্রামের একাধিক বাড়িতে ‘বহিরাগত’দের জড়ো করছেন শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে সোমবার এই মর্মে নালিশ ঠুকল তৃণমূল। দলের তরফে কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। যদিও ওই বাড়িগুলির এক মালিক অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘বহিরাগত’ রাখার প্রশ্নই নেই।

ডেরেকের অভিযোগে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার মোট ৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট ঠিকানা ও বাড়ির সবিস্তার বর্ণনা দিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের মূল বক্তব্য, বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে এই বাড়িগুলিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বেশ কিছু দিন ধরে ওই সব বাড়িতে রয়েছেন। এমনকি, কোন এলাকা থেকে বহিরাগতদের আনা হয়েছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে। স্থানীয় ভাবে পুলিশকে জানানো হলেও এ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে।

৪টি বাড়ির মধ্যে প্রথমেই বলা হয়েছে নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথে রেয়াপাড়া হাসপাতাল মোড়ে কালীপদ শী-এর বসত বাড়ির কথা। তৃণমূলের অভিযোগ, ডিসেম্বর মাস থেকেই দোতলা এই বাড়িতে ৩০-৪০ জন যুবক থাকছেন। তাঁরা কোলাঘাট, পিংলা, কাঁথি এলাকা থেকে এসেছেন। তাঁরা ১২টি বাইক নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। রয়েছে একটি গাড়িও।

দ্বিতীয় বাড়ি মেঘনাদ পালের। তৃণমূলের দাবি, চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম রোড থেকে ১ কিলোমিটার ভিতরে ৩ তলা এই বাড়িটি তাঁবু দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। শুভেন্দুর নির্বাচনী এজেন্ট-সহ ৪০-৫০ জন বহিরাগত আশ্রয় নিয়েছেন এখানে। তৃতীয় বাড়ি টেঙ্গুয়া-২ পঞ্চায়েতের তেরোপাখিরা গ্রামে। এই দোতলা বাড়িতে বলরামপুর, ঝাড়ুচরণ, নরসিংহপুর, জ্যোতির্মল এবং পানিবিতান এলাকা থেকে ২০-৩০ জন রয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে দাবি করেছে তৃণমূল। এ ছাড়া বয়াল এলাকায় ভজহরি সামন্তর বাড়িতেও ২০-৩০ জন বহিরাগতকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।

এর মধ্যে চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম রোড লাগোয়া বাড়ির মালিক বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেছেন, ‘‘আমার রক্ষীরা রয়েছেন। ২ জনই পুলিশকর্মী। ব্যক্তিগত দেহরক্ষীও ২ জন আছেন। ২ মাস আগে থেকেই তাঁরা বাড়িতে রয়েছেন। সবটাই আগাম জানানো আছে পুলিশকে। সেই চিঠির রিসিভ কপিও নিয়েছি।’’ পাল্টা অভিযোগ তুলে মেঘনাদের দাবি, ‘‘উল্টে ওরাই (তৃণমূল) আমার পিছনে সব সময় লোক লাগিয়ে রেখেছে। যেখানে যাচ্ছি আমাকে ফলো করা হচ্ছে। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। তার বদলা নিতেই আনা হয়েছে মিথ্যা অভিযোগ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE