Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Polls: দেড় দিনের মাথায় ফের বিস্ফোরণ গলসিতে, ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বাড়ির দেওয়াল

রবিবার রাতে গলসির আটপাড়া গ্রামে একটি পুকুরের পাড়ে রাখা বোমা ফেটেছিল।

বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়েছে দেওয়াল।

বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়েছে দেওয়াল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৪৩
Share: Save:

আটপাড়ার পরে এ বার রায়পুর। ভোটের আগে ফের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ গলসি-১ ব্লকের রায়পুর গ্রামের একটি নির্মীয়মান বাড়িতে বোমা ফাটে। মণ্ডলপাড়া এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশে ওই নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা মজুত ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশের ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটি স্থানীয় বাসিন্দা শেখ রফিকুলের। পেশায় রাজমিস্ত্রী রফিকুল কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলে তাঁর পরিবারের দাবি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে নির্মীয়মাণ বাড়িতে রাখা বালির স্তূপের নীচে প্লাস্টিকের জারের মধ্যে বোমাগুলি মজুত ছিল। কোনও কারণে সেই মজুত বোমায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে নির্মীয়মাণ বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়ে। জেলা পুলিশের বোমা বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরণের তীব্রতা পরীক্ষা করেন।

প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে রায়পুরের অদূরে আটপাড়া গ্রামে একটি পুকুরের পাড়ে রাখা বোমা ফেটেছিল। ওই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক ফটিক শেখকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই পুকুরের পাশেই ফটিকের বাড়ি। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে আটপাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও বোমা ফাটে। দেওয়াল উড়ে যায় বিস্ফোরণের তীব্রতায়। মার্চ মাসে পূর্ব বর্ধমানেরই রসিকপুরে মজুর রাখা বোমা ফেটে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।

ভোটের উত্তেজনার আবহে পর পর বোমা বিস্ফোরণে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম আতঙ্কিত। ঘটনার খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ রায়পুর গ্রামে যায়। বিস্ফোরণস্থলটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোনা খাতুন বলেন, ‘‘এত জোরে বোমাটি ফাটে যে আমাদের ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। বালি ছিটকে যায় অনেকদূর। অন্যদিন, বাচ্চারা ওইখানে খেলা করে। আজ রোদের জন্য যায়নি। ওরা থাকলে কী হত, ভাবতেই ভয় হচ্ছে।’’ তিনি জানান, যে নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা ফেটেছে তার মালিক রফিকুল কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। অন্য কেউ তাঁর বাড়িতে বোমা রেখেছিল।

রফিকুলের মা শাকিলা বিবি বলেন, ‘‘জানি না কারা এ কাজ করেছে। আমার ছেলে সাধাসিধে। আমরা কোনো রাজনীতি করি না। খুবই গরিব আমরা।’’'ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন, ‘‘একের পর এক এমন ঘটনা ঘটছে। এর পিছনে তৃণমূল আছে। প্রশাসনকে বারবার বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। ভোটের আগে মানুষকে ভয় দেখাতেই এমন হচ্ছে।’’

জেলা তৃণমূলের কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, ‘‘আমরা পুলিশকে বলেছি, কে বা কারা এর পিছনে আছে খুঁজে বার করা হোক। প্রশাসনের কাছে এই দাবি আমাদের।’’ বিজেপি-র অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি তো অভিযোগই করে যাচ্ছে। আমার তো মনে হয় এর পিছনে বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE