Advertisement
০৩ মে ২০২৪

ফল বেরোতেই সিপিএম অফিসে ভাঙচুর, আগুন

ভোট মিটতেই শুরু হল ‘চড়াম চড়াম’। কেশপুর, মেদিনীপুর-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায় সিপিএম কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

পুড়ে গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটিতে বামেদের কার্যালয়।

পুড়ে গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটিতে বামেদের কার্যালয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৬ ০১:১০
Share: Save:

ভোট মিটতেই শুরু হল ‘চড়াম চড়াম’। কেশপুর, মেদিনীপুর-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায় সিপিএম কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাঁকাই ছিল মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটিতে সিপিএমের লোকাল কমিটির কার্যালয়। অভিযোগ, সুনসান দোতলা কার্যালয়েই ভাঙচুর চালায় একদল তৃণমূল কর্মী। কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঝর্নাডাঙাতেও সিপিএমের একটি অফিসে হামলা হয়েছে। হবিবপুরে সিপিএমের শাখা অফিসের সামনে লাল পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা টাঙানো হয় বলে অভিযোগ। একই ঘটনা ঘটে শহর লাগোয়া কালগাঙে। সিপিএমের মেদিনীপুর শহর জোনাল সম্পাদক সারদা চক্রবর্তী বলেন, “ভোটে হার-জিত থাকেই। তাই বলে এমন সন্ত্রাস হবে কেন?” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “মানুষ আক্রান্ত হলে পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর জন্য দলের কর্মীদের বলা হয়েছে।” কেশপুরেও একাধিক শাখা অফিস আক্রান্ত হয়েছে বলে সিপিএমের অভিযোগ।

তৃণমূলের বিপুল জয় নিশ্চিত হতেই যে ভাবে হামলা শুরু হয়েছে, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেই আশঙ্কা বিরোধী শিবিরের। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সব এলাকায় নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন, ভোটের ফলপ্রকাশের দিন স্থানীয় নেতারা যেন এলাকা না ছাড়েন। কোথাও কোনও গোলমাল হলে তাঁরা যেন পদক্ষেপ করেন। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করেন। একাংশ নেতা অবশ্য এই নির্দেশ না মেনেই এ দিন এলাকা ছেড়েছেন। আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের বক্তব্য, “জেলায় কোনও অশান্তি হয়েছে বলে জানা নেই। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঠিক কী হয়েছে দেখছি।” তিনি আরও জানেন, কর্মীদের এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

assembly election 2016 cpm
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE