Advertisement
E-Paper

২.০: রজনী যথার্থ, অক্ষয় অনবদ্য

গল্পটা মূলত এক পক্ষীপ্রেমী অধ্যাপকের। দিনেরাতে, প্ল্যাকার্ড হাতে মানুষের কাছে পক্ষীরাজন নামের সেই বৃদ্ধের (অক্ষয়কুমার) একটাই আর্জি— ‘মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমান।

অন্তরা মজুমদার

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:১০

গল্পটা মূলত এক পক্ষীপ্রেমী অধ্যাপকের। দিনেরাতে, প্ল্যাকার্ড হাতে মানুষের কাছে পক্ষীরাজন নামের সেই বৃদ্ধের (অক্ষয়কুমার) একটাই আর্জি— ‘মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমান। পাখিদের জীবন এতে বিপন্ন হচ্ছে।’ বাস্তব জীবনেও এমন কথা আমরা শুনেছি বইকী। কিন্তু মোবাইল নেটওয়র্কের কারণেই পাখিরা বিপর্যস্ত কি না, তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে সন্দেহ থাকায় আর গা করিনি! ‘টু পয়েন্ট ও’ সিনেমার গল্পে ইকোসিস্টেমের এই প্রশ্নটাকেই ধরেছে। আর এখানেই একটা বাজি জিতে নিয়েছে ছবিটা। নেহাত অ্যাকশন ছবি এবং ভিস্যুয়াল কারিগরিতে আটকে না থেকে একটা সামাজিক দিককে প্লটে স্থান দিতে সফল হয়েছে ‘টু পয়েন্ট ও’। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার যে কোথাও একটা ভারসাম্য নষ্ট করছে, এই বিষয়টাকে মনে করিয়ে দিয়েছে এই ছবি।

কিন্তু সেই পক্ষীপ্রেমী ভদ্রলোকের উদ্দেশ্য সৎ হলেও পন্থায় গন্ডগোল থাকায় নিয়ে আসতে হয় রোবট, অর্থাৎ চিট্টিকে। মানুষ খুনের যে ব্রত পক্ষীরাজন নেয়, তার থেকে মুক্তি পেতেই তাকে নিয়ে আসে বৈজ্ঞানিক ভাসিগরন (রজনীকান্ত)। তার পরেই থ্রিডি অ্যাকশনের তোড়ে অন্য কিছু ছবিতে আর স্থান পায় না। এমনকি, গানও না! এ আর রহমান থাকা সত্ত্বেও ছবিতে গান সাকুল্যে দুটো। তবে রসুল পুকুট্টির সাউন্ড ডিজ়াইন ছবির সাই-ফাই টোনের সঙ্গে যথার্থ মানিয়েছে। এবং ভিস্যুয়াল এফেক্ট এ ছবিতে অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। রজনীর অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এমি জ্যাকসনের সঙ্গে আধখানি দৃশ্যে রোম্যান্স করেছেন তিনি। সামান্য বিরক্তিরই কারণ ঘটিয়েছে সেই দৃশ্য। তবে পুরোদস্তুর খলনায়কের চরিত্রে অক্ষয় অনবদ্য। দেখতে দেখতে মনে হবে, পক্ষীরাজনই যদি হিরো হতো!

টু পয়েন্ট ও পরিচালনা: শঙ্কর অভিনয়: রজনীকান্ত, অক্ষয়, এমি ৬/১০

2point0 Rajinikanth Akshay Kumar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy