প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মধ্যে রেখার ছাপ! তাঁকে প্রথম দেখে এমনই মনে হয়েছিল বলিউডের প্রযোজকের। সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে সফর শুরু হয়েছিল প্রিয়ঙ্কার। তার পরে বলিউডের সফর শুরু ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ আ স্পাই’ ছবির মাধ্যমে। সৌন্দর্য নিয়ে সমাজের তথাকথিত ছক ভেঙেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সেই সময়ের বলিউডে গায়ের রং নিয়ে একাধিক বার কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এমনকি সহ-অভিনেত্রীদের তরফ থেকেও ধেয়ে এসেছিল কটাক্ষ। কিন্তু সে সব থামিয়ে রাখতে পারেনি প্রিয়ঙ্কাকে। সেরা হয়ে ওঠার লক্ষ্যে স্থির ছিলেন তিনি। অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডে শক্ত ভিত তৈরি করেন। তার পরে হলিউডে গিয়েও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন। কেরিয়ারের প্রথম দিকেই প্রিয়ঙ্কাকে দেখে বোঝা গিয়েছিল, তিনি লম্বা দৌড়ের ঘোড়া। জানিয়েছেন প্রযোজক সুনীল দর্শন।
শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে সুনীল জানিয়েছেন, প্রিয়ঙ্কাকে প্রথম দেখার ১৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি বুঝেছিলেন, আরও এক রেখাকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ১৮ জুলাই ৪৩ বছর পূর্ণ করলেন প্রিয়ঙ্কা। তাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে কথোপকথন শুরু করেন প্রযোজক। সুনীল বলেন, “২০০২ সালে ঠিক এই দিনেই প্রিয়ঙ্কা চোপড়া আমার ‘অন্দাজ়’ ছবির চুক্তিতে সই করেছিলেন। কী কাকতালীয়!”
আরও পড়ুন:
ভবিষ্যতে সারা বিশ্বে নিজের পরিচিতি তৈরি করবেন প্রিয়ঙ্কা, এমন আন্দাজ করেছিলেন প্রযোজক? সুনীল বলেছেন, “তখন বিশ্বে পরিচিতি পাওয়ার বিষয়টা লক্ষ্য ছিল না। তবে ও জানত, হিন্দি ছবিতে ও বড় তারকা হয়ে উঠবে। তা না হলে আমি কেন ২০০৫ সালে ‘বরসাত’ ছবিতে ওকে প্রধান চরিত্রে নেব? ওর অন্যতম সেরা ছবি এটি।”
প্রথম সাক্ষাৎ নিয়ে সুনীল বলেছেন, “আমার অফিসে এসেছিল ও। ১৫ মিনিট ওকে দেখে বুঝে যাই, আমি আরও একটা রেখাকে খুঁজে পেয়েছি।”
২০০২ সালে ‘অন্দাজ়’ ছবিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ছিলেন লারা দত্তও। সেই ছবি থেকেই প্রথম নজর কা়ড়তে শুরু করেন ‘দেশি গার্ল’। এর পরে ‘অ্যায়তরাজ়’, ‘দোস্তানা’, ‘কামিনে’, ‘বরফি’, ‘মেরি কম’, ‘ফ্যাশন’, ‘জন ২’, ‘সাত খুন মাফ’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন প্রিয়ঙ্কা।