শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
এক মানসিক রোগগ্রস্ত সাহিত্যিক কৌশিক। কাহিনি লিখছেন, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র বিপিন। পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও এক জমিবিতর্কে এই বিপিন হারিয়েছেন তাঁর মা, স্ত্রী, এমনকি কন্যাকেও। কাহিনিটি লিখতে লিখতে কৌশিকের মধ্যে অদ্ভুত এক পরিবর্তন আসতে থাকে। গল্পের চরিত্রগুলো যেন তার সামনে হেঁটেচলে বেড়ায়। তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। রক্তমাংসের মানুষেরা যা কিছু আদানপ্রদান করে, কৌশিক তা-ই যেন করতে থাকেন তাঁর চরিত্রদের সঙ্গে।
এই কৌশিককে সিঙ্গাপুরবাসী আইটি প্রফেশনাল নবারুণ সেন ফ্রেমবন্দি করেছেন তাঁর আসন্ন ছবি ‘দ্বিখণ্ডিত’তে। এর আগে ন্যাশানাল জিওগ্রাফির হয়ে তিন, চারটে ডকুমেন্টারি ছবি করেছেন তিনি। একটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি এই প্রথম। ‘‘আমি দেখলাম বাংলায় লেখালিখির কাজটাই সবচেয়ে ভাল করতে পারি আমি। ওটা করেই সবচেয়ে আনন্দ পাই। এই ছবির গল্প, চিত্রনাট্য আমার। পরিচালনাও আমিও করেছি’’ অকপট নবারুণ।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় বিচলিত হয়ে কৌশিকের স্ত্রী সুমনা (অঞ্জনা বসু) তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। যেখানে কৌশিকের চিকিৎসার ভার নেন দীপা (সায়নী ঘোষ)। দীপার ধারণা, কৌশিক ‘ডিস-অ্যাসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার’ নামে জটিল রোগে আক্রান্ত। এই সময়ই এক লড়াকু চিত্র পরিচালক ঋত্বিক (কৌশিক কর) ‘বিপিন’-এর গল্প কোনও এক খবরের কাগজে পড়ে সাহিত্যিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর বাড়ি এসে কৌশিকের পরিণতি জানতে পারেন। তার পর?
এই ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন এক বর্ষীয়ান সাইকোলজিস্টের চরিত্রে। মন আর মননের এক আশ্চর্য খেলার আলোছায়ায় ধরা কাহিনিটি কি বিপন্নতা থেকে মুক্তি দেবে সাহিত্যিক কৌশিককে? চিত্র-পরিচালকও কি ছবিটা তৈরি করতে সফল হবেন? এ নিয়েই জটিল মনস্তাত্ত্বিক ছবি ‘দ্বিখণ্ডিত’ মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ২৯ মার্চ।
আরও পড়ুন, দীপিকাকে ‘বৌদি’ ডেকে বিপাকে ভিকি!
(কোন সিনেমা বক্স অফিস মাত করল, কোন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল - বক্স অফিসের সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy