আদিত্য ধরের ‘ধুরন্ধর’ বক্স অফিসে সফল। কিন্তু পাশাপাশি চলছে নানা বিতর্কও। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে নানা রকমের আপত্তি উঠেছে চিত্রনাট্য নিয়ে।
ছবিতে দেখানো হয়েছে, পাকিস্তানের লিয়ারি শহরে চলা গ্যাংস্টারদের নানা ঘটনা। তবে এর মধ্যে পাক সরকার দাবি করেছে, ‘ধুরন্ধর’-এ পাকিস্তান ও লিয়ারিকে খুব নেতিবাচক আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে। আদিত্য ধরের ছবির পাল্টা জবাব দিতে শনিবার পাকিস্তানে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মেরা লিয়ারি’ নামে একটি ছবির।
পাকিস্তানের মন্ত্রী শারজিল ইনাম মেমন সেই ছবির পোস্টার ভাগ করে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লিখেছেন, “ভারতীয় ছবি ‘ধুরন্ধর’ প্রোপাগান্ডার আরও একটা উদাহরণ। এদের নিশানায় এ বার লিয়ারি। লিয়ারি বলতে আমরা হিংসা বুঝি না। বরং সংস্কৃতি, শান্তি ও বাসিন্দাদের প্রতিভার জন্য লিয়ারির কথা উঠে আসে। আগামী মাসে মুক্তি পাবে ‘মেরা লিয়ারি’। এই স্থানের আসল রূপ ওই ছবিতেই দেখা যাবে। লিয়ারি বলতে আমরা শান্তি, সমৃদ্ধি ও গৌরবকে বুঝি।”
আরও পড়ুন:
নেটাগরিকেরা যদিও দাবি করেছেন, এই ছবি মোটেও সফল হবে না। এক নেটাগরিক লিখেছেন, “পাকিস্তানের মানুষও ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে আলোচনা করছেন। আর এই ‘মেরা লিয়ারি’ বিনামূল্যে দেখতে দিলেও কেউ দেখবে না।”
বক্সঅফিসে এক সপ্তাহের মধ্যেই ঝড় তুলেছে ‘ধুরন্ধর’। সেই ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্কও। এমনকি, পাকিস্তান থেকেও এসেছে ইতিবাচক ও নেতিবাচক, দুই প্রতিক্রিয়াই। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে পুরোপুরি নিষিদ্ধ এই ছবি। বাহরিন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও আরব আমিরশাহিতে এখনও মুক্তি পায়নি ‘ধুরন্ধর’।
আদিত্য ধরের এই ছবি 'পাকিস্তান-বিরোধী' বলে খবর ছড়ায়। অতীতে এই ধরনের ছবি পশ্চিম এশিয়ার এই দেশগুলিতে মুক্তির অনুমতি পায়নি। আরও জানা গিয়েছে, উল্লিখিত দেশগুলিতে ছবি মুক্তির ছাড়পত্র পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নির্মাতারা। কিন্তু কোনও দেশেই মেলেনি অনুমতি। শেষ পর্যন্ত আদিত্য ধরের এই ছবি আরব দেশগুলিতে মুক্তি পাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।