‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর ছায়া দেখা গেল নাটকেও। ফের ‘অদৃশ্য’ আঙুলের সৌজন্যে বন্ধ হয়ে গেল দক্ষিণ কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে নাটকের প্রদর্শন। ছবি: সংগৃহীত।
‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর ছায়া এ বার নাটকেও।
ফের ‘অদৃশ্য’ আঙুলের সৌজন্যে বন্ধ হয়ে গেল দক্ষিণ কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে নাটকের প্রদর্শন। অভিযোগ, নাটকটি দেখানো হলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে, সেই আশঙ্কায় ভবানীপুর থানার তরফে এক পুলিশকর্মী পরিচালকের কাছে সেটি মঞ্চস্থ না করার অনুরোধ করেছিলেন। পুলিশ আপত্তি তোলায় প্রেক্ষাগৃহের কর্তৃপক্ষও বেঁকে বসেন। ফলে বিশ্ব নাট্যদিবসের সন্ধ্যায় নাটক না দেখে ফিরে গেলেন দর্শকেরা।
ঘটনাটি গত বুধবারের। বাংলাদেশের এক ব্যক্তির উপাখ্যান নিয়ে রচিত নাটক ভবানীপুরের একটি প্রেক্ষাগৃহে দেখানোর কথা ছিল। নাটকের পরিচালক প্রবীর মণ্ডলের আক্ষেপ, ‘‘শিল্পীর স্বাধীনতার উপরে এই হস্তক্ষেপ অবাঞ্ছিত।’’ ভবানীপুর থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন প্রবীরবাবু। কেন নাটকের প্রদর্শন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল এবং পুলিশের কাছে নাটকটি সম্পর্কে অভিযোগ এসেছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রবীরবাবু বলেন, ‘‘নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকা ব্যক্তির পেশাই হল চুরি। চুরির উপার্জন তিনি ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওই ব্যক্তির ধর্মের পাশে ‘চোর’ শব্দটি যুক্ত করে নাটকের নামকরণ হয়েছে। নামটিও আমার দেওয়া নয়।
স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে ওই নামেই ডাকেন। নাটকটি সম্প্রীতির বার্তাবাহক।’’ তাঁর দাবি, ‘‘২০১২ সালে নাটকটি শিশির মঞ্চে দেখানো হয়েছিল। তখন সমস্যা হয়নি।’’
প্রবীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘বুধবার সকালে আমার বাড়ি এসে ভবানীপুর থানার এক সাব ইনস্পেক্টর নাটকটি না দেখাতে অনুরোধ করেন। নাটক দেখানো হলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলে তিনি জানান।’’ যদিও ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কিছু জানি না।’’ ডিসি (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদের মন্তব্য, ‘‘আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। কিন্তু পুলিশ কেন কাউকে এমন নিষেধ করবে?’’
ওই প্রেক্ষাগৃহের এক কর্মী বলেন, ‘‘নাটক বন্ধ করতে চাইনি। একাধিক ব্যক্তি আমাদের ফোন করে নাটকটি বন্ধ করতে অনুরোধ করেছিলেন। পুলিশও আপত্তি করেছিল। সেই কারণে প্রবীরবাবুকে পুলিশের থেকে অনুমতিপত্র আনতে বলেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy