রেটিং চার্টে বেশ কয়েক বার ‘বেঙ্গল টপার’। তার পরেও বদলে গেল ধারাবাহিক ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’র সময়। এত দিন স্টার জলসায় ধারাবাহিকটি রাত সাড়ে আটটার সময় দেখা যেত। সোমবার থেকে সেটি দেখানো হবে বিকেল পাঁচটায়।
যাঁকে নিয়ে এত কথা সেই ‘ভবাণী’ রাজনন্দিনী কী বলছেন? ধারাবাহিকের শুটিংয়ের কারণে তিনি কথা বলতে পারেননি। বদলে কথা বলেছেন তাঁর অভিনেত্রী মা ইন্দ্রাণী দত্ত। তাঁকেও দেখা যাবে স্নেহাশিসের আর একটি নতুন ধারাবাহিক ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’তে। ইন্দ্রাণী কিন্তু চ্যানেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি। যুক্তি দেখিয়েছেন, “দর্শক হারাবে ধারাবাহিকটি। যাঁরা নিয়মিত দেখতেন, তাঁদের অনেকেই ওই সময়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন না। এ কথা বেশ কিছু জন জানিয়েওছেন আমায়।” একটু থেমে যোগ করেছেন, “আমাকেই অভ্যাস বদলাতে হবে। মেয়ের প্রথম ধারাবাহিক। রোজ রাত সাড়ে আটটা বাজলেই দেখতে বসতাম। এ বার বিকেল পাঁচটায় ফাঁকা থাকতে হবে।”
আরও পড়ুন:
এই খবর রাজনন্দিনীকে বিচলিত করতে পারেনি, সে কথাও জানাতে ভোলেননি ইন্দ্রাণী। “মনের মতো চরিত্র পেয়ে ও যেন নিজেকে সঁপে দিয়েছে। রাজনন্দিনী বাঁ হাতে কাজ করে। ধারাবাহিকে সব কিছুই করতে হচ্ছে ডান হাতে। এমনকি, ভারী তলোয়ার ধরা বা তাকে চালানো। অনেক সময় বাড়ি ফিরেও সে সব অভ্যাস করে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরের দিনের শটের হয়তো মহড়া দিয়ে নেয়।” এত পরিশ্রম করছে বলেই হয়তো আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে নায়িকার। মাকে জানিয়েছেন, মন দিয়ে কাজ করলে সুফল মিলবে।
ধারাবাহিকের অন্যতম অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত। ছবি: ফেসবুক।
একই কথা বলেছেন ধারাবাহিকের অন্যতম চরিত্রাভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্তও। ছোটপর্দায় রানির ‘ননদ’ তিনি। তাঁর কথায়, “কেন সময় বদলে গেল বা এতে রেটিং চার্টে কোনও প্রভাব পড়বে কি না— এ সব ভেবে লাভ নেই। ‘স্লট লিডার’ হতে হবে, এই ভাবনা নিয়ে আমরা নতুন উদ্যমে লড়াই শুরু করেছি।”
কেন এই বদল? একটি কারণ, স্নেহাশিস চক্রবর্তীর নতুন ধারাবাহিক ‘বিদ্যা ব্যানার্জি’। খবর, রাজনন্দিনী পাল অভিনীত ধারাবাহিকের জায়গায় আসছেন স্বস্তিকা দত্ত। আর কোনও কারণ আছে? আনন্দবাজার ডট কম প্রশ্ন করেছিল ‘রাণী ভবানী’র পরিচালক সুমন দাসের সঙ্গে।
তাঁর মতে, “বিকেল পাঁচটায় স্টার জলসার কোনও স্লট ছিল না। ওই সময়ে পুরনো ধারাবাহিক দেখানো হত। আমাদের হয়তো সেই জন্যই আনা হচ্ছে।” সুমনের আশা, ‘স্লট লিডার’ হতে পারলে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আগামী দিনে ওই সময়ে নতুন ধারাবাহিক আনার কথা ভাববেন। কিন্তু দর্শকসংখ্যা কিছুটা হলেও যে কমবে! অনেকেই বিকেল পাঁচটার মধ্যে বাড়িতে ফেরেন না। এই নিয়ে অবশ্য ভাবতে রাজি নন পরিচালক। তাঁর যুক্তি, “আমার কাজ ধারাবাহিক পরিচালনা করা। আমায় যে সময় দেওয়া হবে, সেই সময়েই আমি একই পরিশ্রম এবং মনোযোগ দিয়ে কাজটা করব।” আরও যোগ করেছেন, ধারাবাহিকের দুনিয়ায় তিনি আপাতত সবচেয়ে পুরনো। তাই ফলের আশা না করেই কাজ করেন।