হঠাৎ যেন গোটা বাড়িটা খালি হয়ে গিয়েছে। আগের সন্ধ্যায়ও যিনি ছিলেন সমস্ত ঘর জুড়ে, পর দিন সকালেই তাঁর আর কোনও অস্তিত্ব নেই! এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে যেন সামলে উঠতে পারছেন না অভিনেতা পরাগ ত্যাগী। তাঁর সমাজমাধ্যম জুড়ে ভেসে থাকছে প্রয়াত স্ত্রীয়ের সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্ত।
গত ২৭ জুন রাতে অসুস্থ অবস্থায় ‘কাঁটা লগা-গার্ল’ শেফালী জরীওয়ালাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। প্রাথমিক ভাবে জানা যায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। তার পর বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। মাত্র ৪২ বছর বয়সে কী ভাবে মৃত্যু হল অভিনেত্রী তা নিয়ে চলেছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন স্বামী পরাগও। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা গিয়ে তদন্ত করেছেন তাঁদের বাড়িতে। আঙুল উঠেছে অভিনেত্রীর বয়স ধরে রাখতে ব্যবহার করা বিশেষ কিছু ওষুধের দিকে।
বোনঝি আর্যার সঙ্গে শেফালী জরীওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত।
আরও পড়ুন:
রবিবার সকালে পরাগ ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নেন একটি পুরনো ভিডিয়ো। দারুন মজার সেই ভিডিয়োয় শেফালীর আনন্দ-মুহূর্ত ধরা রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রীর বোনঝি-বোনপো, আর্যা আর কিয়ান। তাদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতেছেন শেফালী। ক্যামেরা ফিল্টার ব্যবহার করে কখনও তারা নিজেদের মুখে গোঁফ তৈরি করছে, কখনও মাসির মুখে। আবার কখনও দেখা যাচ্ছে নিজেদের পা দিয়ে কান ধরার চেষ্টা করছে। কখনও শুধুই মাসির কোলে শুয়ে আদর খাচ্ছে।
শেফালীর মৃত্যুর পর থেকে পরাগ সমাজমাধ্যমে তাঁকে নিজের ‘পরি’ বলে উল্লেখ করছেন। এই ভিডিয়ো ভাগ করে পরাগ লিখেছেন, “পরি, বিশ্বের সেরা মাসি। আর্যা, কিয়ান তাদের ‘মস্তিখোর’ (মজাদার) মাসির সঙ্গে মজা করছে।” এর পরই পরাগ লিখেছেন, শেফালী সব সময় বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলা করতেন, খুব ভালবাসতেন। তিনি লিখেছেন, “জীবনের যে কোনও ভূমিকায় পরি সেরা ছিল। সব সময় ভালবাসা আর আনন্দ দিয়ে গিয়েছে।” পাশাপাশি পরাগ এ-ও জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ‘পরি’র এই সব স্মৃতি তিনি রোমন্থন করছেন এবং ভাগ করে নিচ্ছেন শুধু সেই সব বন্ধুর সঙ্গে যাঁরা সত্যিই শেফালীকে ভালবাসেন।