Advertisement
E-Paper

জন্মের পর থেকেই আমায় নিয়ে টানাটানি! মা-বাবার উপরে খুব তিক্ত হয়ে পড়েছিলাম: প্রতীক

“এতটাই তেতো হয়ে গিয়েছিলাম যে মা-বাবা কারও পদবি ব্যবহার করতাম না। মনে হত, আমি শুধু প্রতীক। প্রতীক হয়ে বাঁচতে চাই।”

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৫ ১০:১১
মাকে নিয়ে প্রতীক স্মিতা পাটিল।

মাকে নিয়ে প্রতীক স্মিতা পাটিল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

সন্তান যখন ভূমিষ্ঠ হয়, তখন তাকে ঘিরে থাকে মা-বাবা, আত্মীয়-পরিজন। তাদের আদরে, স্নেহে বেড়ে উঠতে থাকে সে। তার কাছে মা-বাবা— উভয়ের সমান গুরুত্ব। রাজ বব্বর-স্মিতা পাটিলের সন্তান প্রতীকের কিন্তু সেই সৌভাগ্য হয়নি! পদবি বদলানোর পর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ছেলেবেলার তিক্ত স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “জন্মের পর থেকেই আমায় নিয়ে টানাটানি! বাবা চান, আমি তাঁর পদবিতে পরিচিত হই। মায়ের দাবি, আমি শুধুই তাঁর সন্তান। ফলে, পদবি ব্যবহার করা নিয়ে মা-বাবার দ্বন্দ্ব। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ছোট থেকে এই ঘটনা দেখতে দেখতে বড় হওয়া ক্লান্ত আমি একটা সময়ের পর মা-বাবার উপরে প্রচণ্ড তেতো হয়ে গিয়েছিলাম।”

সন্তানকে নিয়ে মা-বাবার এই টানাপ়ড়েন ব্যর্থ বিয়ের ফসল। সেখানে সন্তান না চাইতেই ‘অপরাধী’ হয়ে যায়! মনে করেন প্রতীক। এই অনুভূতি ছেলেবেলা থেকে তাঁর মনেও ছায়া ফেলেছিল। সেই অনুভূতি থেকে বড় হওয়ার পর তিনি একটা সময় এমনও ভাবতে শুরু করেছিলেন, “কে মা! কে বাবা! আমি প্রতীক। শুধুই প্রতীক। প্রতীক হয়ে জন্মেছি। শেষ দিন পর্যন্ত শুধুই প্রতীক হয়ে থাকব।” এই ভাবনা থেকে তিনি মা-বাবা সকলের পদবি ছেঁটে ফেলেছিলেন। একাধিক ছবির পরিচয়লিপিতে শুধুই প্রতীক হিসাবে তাঁর নাম ব্যবহৃত হয়েছে।

আইনি যুদ্ধে স্মিতা জিতেছিলেন। অর্থাৎ, প্রতীক বাবা নয়, মায়ের পদবি ব্যবহারের নির্দেশ পান। যদিও বড় হওয়া পর্যন্ত ‘বব্বর’ পদবিই ছিল তাঁর নামের সঙ্গে। পরে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুঝতে পারেন মাকে, মায়ের অসম্মান-যন্ত্রণা। আপন করে নেন মায়ের পদবি। অভিনেতা ‘স্মিতা’ না লিখে ‘স্মিত’ লেখায় তাই নিয়েও বিপত্তি। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, তিনি বুঝি খ্রিস্টান হয়ে গিয়েছেন! তাই ‘স্মিত’ পদবি। এখন প্রতীক নিজের ইচ্ছেয় প্রতীক স্মিতা পাটিল।

Prateik Smita Patil
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy