বেশ অনেক দিন হল মুম্বইয়ে থাকছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী। সেখানেই কাজের চেষ্টা চালাচ্ছেন। হিন্দি ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অন্য দিকে স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তী কলকাতাতেই আছেন। দু’জন দুই শহরে, এই নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল। এরই মধ্যে প্রান্তিক জানিয়েছেন, তাঁরা বন্ধু হিসাবে থাকলেই ভাল হত। তা হলে কি বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা?
প্রান্তিক তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করলেও অঙ্কিতার কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি। আনন্দবাজার ডট কম-এর তরফে যোগাযোগ করা হয় অভিনেত্রীর সঙ্গে। এখনও মুম্বইয়েই রয়েছেন তিনি। কয়েক দিন আগেই কলকাতা থেকে ঘুরে গিয়েছেন। কলকাতায় কেন কম কাজ করছেন? এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর উত্তর, এই প্রশ্নটা তাঁকে না করে পরিচালক-প্রযোজকদের করা উচিত। অঙ্কিতা বলেন, “মুম্বই থেকে কলকাতার দূরত্ব আর কত? রাতে শুটিং করে পরের দিন সকালেই ফিরে যাওয়া যায়।” এরই মধ্যে একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। অরিজিৎ সিংহের সঙ্গেও কাজ করেছেন।
কলকাতা ও মুম্বইয়ের কাজের ব্যস্ততায় প্রান্তিকের সঙ্গে সম্পর্কে কি কোনও প্রভাব পড়ল অঙ্কিতার? অভিনেত্রী বললেন, “এই বিষয়ে আমি সংবাদমাধ্যমকে একটি কথা বলতে চাই। আমি, প্রান্তিক বা যে কোনও শিল্পী— যাঁদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করা হয়, তার নেপথ্যে কারণ হল আমাদের কাজ। এই কাজের জন্য আমাদের পরিচিতি। প্রান্তিক যা-ই বলে থাকুক, আমাদের পরিচিতি হোক কাজ দিয়ে। দর্শক সেটাই দেখুক, জানুক। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমার তো এটা প্রথম সম্পর্ক ভাঙছে না! বা হচ্ছেও না। আর এই বিষয়ে আমি খোলাখুলি কথা বলতেই পছন্দ করি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বাইরে কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা করতে চাই না।” অভিনেতা প্রান্তিকের সঙ্গে অঙ্কিতার বন্ধুত্বের বয়স প্রায় ১২ বছর।
লোকচক্ষুর আড়ালে, চুপিসারেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তখনও সেই পরিকল্পনা কাউকে টের পেতে দেননি তাঁরা। সম্পর্ক ভাঙা প্রসঙ্গে অঙ্কিতা যোগ করেন, “যখন সম্পর্ক তৈরি হয় তখন যেমন অনেকটা ভাল লাগা থাকে, তেমনই যখন কোনও সম্পর্ক ভাঙে, তখন কিছু না কিছু তিক্ততা থেকেই যায়। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হোক চাই না। যদি সত্যিই ১২ বছরের বন্ধুত্ব হয়ে থাকে, তা হলে চাইব প্রান্তিকের সম্পর্কে কোনও খবর বার হলে তা যেন কাজের জন্য হয়। আমার ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।” আগামিদিনে কি নতুন কোনও কাজে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে? এখনই তা খোলসা করতে নারাজ অঙ্কিতা। তবে জানিয়েছেন, অভিনেত্রীকে কারও প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই খুঁজে নেবেন।