সুস্থ মানুষ। রাতেও স্বাভাবিক ভাবে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। সকালে বাগানে ঘোরাঘুরিও করেছেন। তার পর সব শেষ। পরিচালক পার্থ ঘোষের প্রয়ানের খবর আসার পর থেকে মন ভাল নেই অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। এই পরিচালকের মাধ্যমেই মায়ানগরীতে পা রেখেছিলেন নায়িকা। কিছু দিন আগেই মা-কে হারিয়েছেন অভিনেত্রী। পার্থর আকস্মিক চলে যাওয়ার খবর আসার পর থেকেই মা আর বাবার কথা বার বার মনে পড়ছে তাঁর। আনন্দবাজার ডট কমকে বললেন , “বাবার খুব পছন্দের মানুষ ছিলেন পার্থদা।” এক জন বাঙালি পরিচালকের মাধ্যমে মুম্বইয়ে জগতের সঙ্গে নায়িকা ঋতুপর্ণার প্রকাশ ঘটছে, এটা ভেবে খুব খুশি হয়েছিলেন নায়িকার বাবা। এই স্মৃতিগুলোই বার বার ফিরে আসছে ঋতুপর্ণার মনে।
সকালে প্রথম যখন খবর পেয়েছিলেন তখন থেকে পরিচালকের স্ত্রীয়ের কথাই মনে পড়ছে ঋতুপর্ণার। পার্থর কোনও সন্তান হয়নি। আচমকা স্বামীর মৃত্যুতে এখন ঠিক কী ভাবে দিন কাটাবেন তাঁর স্ত্রী। এই প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে ঋতুপর্ণার মধ্যে। অভিনেত্রী বললেন, “বৌদির সঙ্গে সকালে কথা হল। খুব কাঁদছিলেন। ওনাদের তো কোনও সন্তান নেই।” কথা বলতে বলতে গলা ধরে আসছিল অভিনেত্রীর। পার্থর অনেক ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। ইদানীং কাজের পরিমাণ কমিয়ে দিলেও এক সময় অনেক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন পরিচালক। নায়িকার কথায়, তাঁর মতো মানুষ ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম দেখা যায়।
আরও পড়ুন:
তিনি বললেন, “খুব ভাল মনের মানুষ ছিলেন পার্থদা। শুধু আমি নই, অনেক বাঙালি অভিনেত্রীকে হিন্দি ছবিতে কাজের সুযোগ দিয়েছিলেন। এ ভাবে এক জন চলে যাবে সেটা মেনে নিতেই অসুবিধা হচ্ছে। আমার মা-বাবাও তো আর নেই। আর পার্থদাও চলে গেলেন। সব মিলিয়ে মনটা ভারাক্রান্ত লাগছে।” ১৯৯৪ সালে ‘তিসরা কৌন’ ছবির মাধ্যমে প্রথম হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন অভিনেত্রী। সেই ছবির পরিচালক ছিলেন পার্থ। নব্বইয়ের দশকে বলিউডে একের পর এক ছবি পরিচালনা করেছিলেন পার্থ। তাঁর ‘অগ্নিসাক্ষী’ ছবিটি জনপ্রিয়তা পেয়ছিল। এ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মনীষা কৈরালা, জ্যাকি শ্রফ, নানা পটেকর। বাণিজ্যিক সাফল্যের পাশাপাশি এই ছবিটিকে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের তাৎপর্যপূর্ণ ছবি বলে মনে করা হয়।তাঁর পরিচালনায় ‘গুলাম এ মুস্তাফা’ ছবিও বিশেষ ভাবে আলোচিত। ছবিতে রবীনা টন্ডন, নানা পটেকর অভিনয় করেছিলেন। তাঁর পরিচালিত ‘হান্ড্রেড ডেজ়’ ছবিও গুরুত্বপূর্ণ।