বিতর্কে জয়া বচ্চন। ছবিশিকারিদের দেখলেই মেজাজ হারান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তাঁদের কড়া বকুনি দিয়ে আটকান। এ বার তাঁর রক্তচক্ষু দেখলেন তাঁর দলেরই এক কর্মী। অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তোলার চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সে দিকে নজর পড়তেই তাঁর দিকে চোখ পাকিয়ে তাকান জয়া। তার পর জোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। সেই ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্কের ঝড় বইছে ননা মহলে। কী ভাবে ২৪ ঘণ্টা কেউ অকারণে রেগে থাকতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই বিতর্কে এ বার ঘৃতাহুতি দিলেন রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়।
একটা সময়ে জয়া বচ্চনের অভিনয় দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন বাঙালি অভিনেত্রী। কিন্তু বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদের এই আচরণ কখনওই অনুসরণ করতে চান না তিনি। রূপালি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “জয়াজিকে বাবার (অনিল গঙ্গোপাধ্যায়) পরিচালিত ‘কোরা কাগজ়’-এ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। ওঁর অভিনয় দেখে শিখেছিলাম। কিন্তু ওঁর এই আচরণ যেন আমি না শিখি।”
রূপালির মন্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। পরিচালক অশোক পণ্ডিতও এই আচরণের জন্য জয়া বচ্চনের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “একজন সাধারণ মানুষ নিজস্বী তুলতে চেয়েছিলেন মাত্র। সেই জন্য ওঁকে অত জোরে ধাক্কা দিলেন জয়া বচ্চন! গোটা ঘটনাটিই নিন্দনীয়। যাঁরা ওঁকে নির্বাচন করে নিয়ে এসেছেন সংসদে, তাঁদেরই অপমান করছেন! খুবই নিন্দনীয় বিষয়।” সাধারণ মানুষের জন্যেই উনি জনপ্রতিনিধি। তাই সাধারণ মানুষকে তাঁদের সব সময়ে শ্রদ্ধা করা উচিত বলে মনে করেন অশোক পণ্ডিত।
অভিনেত্রী-সাংসদ কঙ্গনা রনৌতও এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন। বিতর্কিত ঘটনার দিন জয়ার পরনে ছিল হালকা লাল রঙের শাড়ি ও ব্লাউজ়। আর মাথায় একই রঙের সমাজবাদী পার্টির টুপি। মাথার টুপি দেখে কঙ্গনা বলেছেন, “মানুষ ওঁর বোকা বোকা বদমেজাজ সহ্য করেন, শুধুমাত্র ইনি অমিতাভ বচ্চনজির স্ত্রী বলে। ওঁর মাথার এই টুপি দেখতে লাগছে মোরগের ঝুঁটির মতো। আর ঝগড়া করার সময়ে ওকে দেখতে লাগছে মারকুটে মোরগের মতো। কী অপমানজনক এবং লজ্জাজনক!”