সায়নী দত্ত, ‘দ্য ওয়াইফ’ ছবির পোস্টারে গুরমিত ও সায়নী
‘জি ফাইভ’-এ মুক্তি পাচ্ছে সায়নী দত্ত অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি ‘দ্য ওয়াইফ’। মুম্বইয়ে বেশ কিছু দিন ধরে প্রযোজনা সংস্থার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন তিনি। এ বার সাফল্যের প্রথম আলো সায়নীর চোখে। প্রথম হিন্দি ছবি মুক্তি পাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগোয়নি। তার দায় সম্পূর্ণ করোনার ঘাড়ে। প্রেক্ষাগৃহে মু্ক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটি। কিন্তু ফের করোনার প্রতিপত্তি বাড়ায় ওটিটি প্ল্যাটফর্মকেই বেছে নেওয়া হল।
‘হরর’ ঘরানার ছবি। সায়নী ছাড়াও এখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মুম্বইয়ের বিখ্যাত টেলি-অভিনেতা গুরমিত চৌধরি। ‘রামায়ণ’, ‘গীত, হুই সবসে পরায়ি’, ‘পুনর্বিবাহ’-র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে কাজ করছেন। এ ছাড়াও ‘খামোশিয়া’ ছবিতে অভিনয় করেছেন গুরমিত।
নিউইয়র্কের বিজ্ঞাপন ছবির পরিচালক সরমদ খানের প্রথম কাহিনিচিত্র ‘দ্য ওয়াইফ’। ‘জি স্টুডিয়ো’-র প্রযোজনায় ভারতীয় চলচ্চিত্রে হাতেখড়ি তাঁর। ছবিটি মু্ক্তি পাবে ১৯ মার্চ। তার আগে আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথা বললেন ছবির নায়িকা সায়নী।
হাওড়ায় বাড়ি সায়নীর। কিন্তু কলেজ জীবন থেকেই মুম্বইতে বসবাস তাঁর। একই সঙ্গে কলকাতা ও মুম্বই, দু’টি ইন্ডাস্ট্রিতে ‘স্ট্রাগল’ করেছেন অভিনেত্রী। কলকাতায় ‘মাইকেল’, ‘ন হন্যতে’, ‘জাদু কড়াই’-তে নায়িকার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দুই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে কিছু উপলব্ধির কথা জানালেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে।
কলকাতা হোক বা মুম্বই, অভিনয়ের জন্য জায়গাটা বড় কথা নয় তাঁর জন্য। কিন্তু মুম্বই অনেক বেশি পেশাদার। যাঁরা তারকা-সন্তান নন, তাঁদের প্রত্যেককেই সেখানে ‘স্ট্রাগল’ করতে হবে। অডিশন ছাড়া সুযোগ পাওয়া যায় না সেখানে। কিন্তু কলকাতা? অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘কলকাতায় যে ভাবে পরিচালকের প্রেমিকা বা প্রযোজকের বান্ধবীকে সুযোগ করে দেওয়া হয়, মুম্বইয়ে ও সবের গল্পই নেই। কাজ দিতে হবে বলে দেওয়া। অভিনয় না জানলেও এখানে যায় আসে না। মুম্বইয়ে প্রতিভা থাকলে তবেই অডিশনে সুযোগ পাওয়া যাবে।’’ শুধু তাই নয়, সায়নীর মতে, কলকাতার পরিচালকদের মতো অহং নেই মুম্বইয়ের পরিচালকদের।
তিনি জানালেন, ‘‘বাংলায় সবাই নিজেকে সত্যজিৎ রায় ভেবে নিয়েছেন। আমি যদি এখন নিজেকে ঐশ্বর্য রাই ভেবে নিই, তা হলে কী করে অভিনয় করব! ফলে কলকাতায় কাজ করাটা একটু মুশকিলের। তার তুলনায় অনেক কঠিন, অনেক দামি, অনেক প্রতিযোগিতা থাকা সত্ত্বেও মুম্বই এখনও পেশাদারিত্বে এগিয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy