তিনি চরিত্র পাচ্ছেন না এমন নয়। কিন্তু প্রত্যেকটা চরিত্রই বয়স্ক! পর্দায় তাঁর বড় বড় ছেলে। বাস্তবে স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের বয়স মাত্র চার। অভিনেত্রীর কি এতটাই বয়স হয়ে গিয়েছে?
ছোট পর্দায় অভিনয় প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুক্রবার স্নেহা নিজেই এই প্রশ্ন আনন্দবাজার ডট কমের কাছে তুললেন! স্নেহা বললেন, “জানি, বছর দু’য়েক পরে মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করতে হবে। তা বলে এখনই? ছোট ছেলের মা হলেও কথা ছিল। অনেক বড় বড় ছেলের মায়ের চরিত্র দিচ্ছে। এই ধরনের চরিত্রে এখনই কী করে অভিনয় করি?”
অভিনেত্রীর মতে, “এ ব্যাপারে অবশ্য চ্যানেল কর্তৃপক্ষকেও দোষ দিতে পারি না। আমি রাজি না হলেও কাজের অভাবে অন্যান্য সহ-অভিনেত্রীরা এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়ে যাচ্ছেন। ফলে, আমাকেও এই ধরনের চরিত্রের জন্য ডাকা হচ্ছে। কিন্তু আমি তো রাজি নই। এখনও আমার এই চরিত্রে অভিনয়ের বয়স আসেনি।”
ঠিক এই কারণেই ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকের পর স্নেহা আপাতত ছোট পর্দায় নেই। তাঁর শেষ সিরিজ় ‘লজ্জা ২’। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ‘গৃহপ্রবেশ’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। এর বাইরে আপাতত কাজ নেই অভিনেত্রীর হাতে! বাড়িতে ছেলের সঙ্গে সময় কাটছে তাঁর। বাকিরা অভিনয় করছেন, তিনি বাড়িতে— বিষয়টি একটু হলেও কি খারাপ লাগছে তাঁর? প্রশ্ন করতেই অভিনেত্রীর বক্তব্য, “একটু হলেও খারাপ লাগে। কারণ, আমার নিজস্ব খরচ আছে। ছেলে বড় হচ্ছে। তার জন্যও অর্থ সংস্থানের প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন:
আবারও পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন, “বছরে দুটো ছবি আর একটি সিরিজ়ে অভিনয় করলে কি সেই পরিমাণ অর্থ উপার্জন সম্ভব?”
পাশাপাশি, তাঁর মনে ভয় জেগেছে ধারাবাহিকের স্থায়িত্ব নিয়েও। আগে কম করে এক বছর একটি ধারাবাহিক চলত। এখন মাত্র দু’মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্নেহার আফসোস, আগে ছোট পর্দায় অভিনয় অফিসের স্থায়ী চাকরির সমান গণ্য করা হত। এখন সেই সুযোগও আর থাকছে না। কাজের অভাব এবং ভাল চরিত্রের অভাব— দুইয়ের সাঁড়াশি চাপে তাঁর হাঁসফাঁস দশা। এ দিকে, ছোট পর্দায় অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে তিনি। পর্দায় এত কম দেখা গেলে দর্শক স্নেহাকে ভুলে যাবেন না তো? এ বার হেসে ফেলেন তিনি। অভিনেত্রীর যুক্তি, “দর্শকেরা ভোলেন না। ‘সুবর্ণলতা’র কথা এখনও দর্শক বলেন। পরিচালক, প্রযোজক, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ না ভুললেই হল।”