জাতি-ধর্মভেদ নিয়ে ৫০০ বছর আগের বাংলা উত্তাল। হানাহানি, হিংসা, অযথা রক্তপাতে মানবিকতা বিপর্যস্ত। এ রকম আবহে চৈতন্যদেবের বাণী, ‘যুদ্ধ কখনও শান্তি এনে দেয় না। হিংসা কখনও পথ হতে পারে না।’ বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সেই কথা আনন্দবাজার ডট কম-কে আর একবার বললেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
জ্বলেছে ও পার বাংলার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’। ভাল নেই পড়শি দেশের বিনোদনদুনিয়া। এই ঘটনা শুভশ্রীকে আরও ব্যথা দিয়েছে। তাঁর কথায়, “ঘটনায় এতটাই বিস্মিত যে, কী বলব সেটাই বুঝে উঠতে পারিনি। কারণ, এই ধরনের ঘটনাও যে ঘটতে পারে সেটাই আমার ভাবনার বাইরে। আমি স্তব্ধ হয়ে দেখেছি সব কিছু। সেই মুহূর্তের অনুভূতি ভাষায় বলে বোঝানোর নয়।” চৈতন্যদেবের বাণীই এ ক্ষেত্রে তিনি আরও একবার উচ্চারণ করেছেন। যুদ্ধ নয়, হিংসা নয়— ভালবেসে, মানবিকতাকে হাতিয়ার বানিয়ে অন্ধকার সময় পেরিয়ে যেতে হবে, এটাই তাঁর মত।
বিনোদিনী প্রেক্ষাগৃহের (স্টার থিয়েটার) সামনে সাজানো শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
শুভশ্রী যদিও এত কিছু পরেও ইতিবাচক। তিনি বলেছেন, “চৈতন্যদেবের ৫০০ বছর আগের বাণী এত বছর পরেও সমসাময়িক। যদিও মন থেকে চাইব, আগামী পৃথিবী থেকে যেন যুদ্ধ-হিংসা শব্দগুলো মুছে যায়। মানুষ মানুষকে ভালবাসবে— এই ইতিবাচক ভাবনা সকলের মনে ছড়িয়ে পড়ুক, বছরের শেষে ঈশ্বরের কাছে এটাই প্রার্থনা থাকবে।” বড়দিনে মুক্তি পাচ্ছে শুভশ্রীর ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। ছবির বিশেষ প্রদর্শনী না হলেও নায়িকার অনুরাগীরা উত্তেজিত। খবর, ইতিমধ্যেই তাঁরা উত্তর কলকাতার বিনোদিনী প্রেক্ষাগৃহ এবং দক্ষিণ কলকাতার নবীনা প্রেক্ষাগৃহের সামনে শুভশ্রীর কাটআউট দিয়ে সাজিয়েছেন। ছবিমুক্তির দিন ফুল দিয়ে সাজানো হবে সেই সব ছবি। কেক কেটে উদ্যাপিত হবে মুহূর্ত।