ঝলক প্রকাশের পর থেকেই চর্চায় আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’। রক্তারক্তি ও হিংসার দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ছবির বিষয়বস্তু নিয়েও বার বার আলোচনা হচ্ছে। ছবিতে রণবীর সিংহকে নাকি দেখা যাবে ভারতের বীর সেনা মেজর মোহিত শর্মার চরিত্রে। এমনই খবর ছড়িয়েছে। এমনকি, অন্য চরিত্রগুলিও বাস্তব থেকেই নেওয়া। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পরিচালক আদিত্য ধর।
২০০০ সালের প্রথম দিকে এই মোহিত শর্মা পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ইফতিকার ভট্ট পরিচয় নিয়ে। তবে আদিত্যের দাবি, রণবীরের চরিত্রের সঙ্গে মোহিতের কোনও মিল নেই। রণবীরের ‘লুক’-এর সঙ্গে মোহিতের চেহারার মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটাগরিক। কিন্তু আদিত্যের বক্তব্য, “নির্ভীক মেজর মোহিত শর্মার জীবন থেকে আমাদের ছবি ‘ধুরন্ধর’ মোটেই উদ্বুদ্ধ নয়। এটা আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করছি। আমরা ভবিষ্যতে যদি ওঁর বায়োপিক তৈরি করি, ওঁর পরিবারের অনুমতি নিয়ে করব। এমন ভাবে তৈরি করব যাতে ওঁর ত্যাগকে সম্মান জানানো যায়।”
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ১৩ জানুয়ারি হরিয়ানার রোহতকে একটি হিন্দু পরিবারে মোহিতের জন্ম। ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে স্বপ্নপূরণের জন্য এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন মোহিত। প্রশিক্ষণের সময় তিনি সাঁতার, বক্সিং এবং ঘোড়সওয়ারিতে দক্ষতা প্রমাণ করেন। এনডিএ-র বন্ধুরা তাঁকে ডাকতেন ‘মাইক’ নামে।
২০০৮ সালে কাশ্মীরে চলে যান মোহিত। মনে করা হয়, সেই সময়েই পাকিস্তানে ঢুকে বেশ কিছু গোপন অভিযান পরিচালনা করেন তিনি। ২০০৯ সালের ২১ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা সেক্টরের হাফরুদা বনে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় সেনার। সেই অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মোহিতের। তবে মৃত্যুর আগে চার জঙ্গিকে নিকেশ করেছিলেন মোহিত।