‘ধুরন্ধর’ ছবির সাফল্যের পর অক্ষয় কুমারকে নিয়ে মাতামাতি। নব্বই দশকের ছেলেমেয়েরা অভিনেতা অক্ষয়কে চিনতই। এ বার জ়েন-জ়ি প্রজন্ম দেখল অভিনেতা হিসেবে অক্ষয়কে। বক্সঅফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১২ দিনে বিশ্বে এই ছবির আয় ৬১৮ কোটি টাকা। বছরশেষে এই সাফল্য উদ্যাপনের মেজাজে গোটা দল। তবে সে সবের থেকে দূরে অক্ষয় বাড়িতে হোমযজ্ঞ করছেন। আনন্দ উদ্যাপন থেকে দূরে সরে থাকতেই ভালবাসেন। তিনিও কি বাবা বিনোদ খন্নার মতোই সন্ন্যাস নেবেন ভবিষ্যতে?
বিনোদ খন্না একসময় বলিউডের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সুপারস্টার বলেই পরিচিত ছিলেন। সুর্দশন, সুপুরুষ বিনোদের মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা নিতান্ত কম ছিল না। কেরিয়ারের মধ্যগগনে বলিউড ছাড়েন। মহেশ ভট্টের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক গুরু ওশোর সঙ্গে পরিচয়। সেখানে যাতায়াত বাড়তে থাকে। পুণের আশ্রম থেকে সরে ওশো চলে যান আমেরিকায়। সেখানেও যান বিনোদ। তখন অক্ষয়ের বয়স পাঁচ বছর। সেখানে সন্ন্যাস গ্রহণ করে বহু বছর পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন।
যদিও বাবা কেন পরিবার ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁর যুক্তি খুঁজে পান না অক্ষয়। তবে ওশোর মতবাদে, তাঁর আর্দশে বিশ্বাসী তিনিও। এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় জানান, সন্ন্যাস হয়তো কখনওই নেবেন না। তিনি বাড়িতেই থাকতে চান। অক্ষয় বলেন, ‘‘আমি জানি না, সন্ন্যাস ঠিক আমার জন্য কি না। তবে ওঁর লেখা পড়ি, ওঁর ভিডিয়ো প্রচুর দেখি। ওঁকে খুব ভালবাসি। ওঁর চিন্তাভাবনার প্রতি ভীষণ শ্রদ্ধাশীল।’’