প্যালেস্তাইনে চলা নির্মমতায় কষ্ট পাচ্ছেন আলিয়া ভট্টের মা সোনি রাজ়দান। সোনির দাদু ছিলেন জার্মান। হিটলারের বিরুদ্ধে একটা সময়ে তিনি প্রতিবাদও করেছিলেন। এই বিষয়ে সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন সোনি রাজদান। পাশাপাশি বিধ্বস্ত প্যালেস্তাইনের কথাও উঠে এসেছে তাঁর পোস্টে।
আলিয়ার মা লিখেছেন, তাঁর দাদুকে আজ প্যালেস্তাইনের নৃশংসতা দেখতে হচ্ছে না, এই জন্য তিনি খুশি। সোনির দাবি, তাঁর দাদু একটা সময়ে যাঁদের (ইহুদি) জন্য লড়াই করেছেন, আজ তাঁরাই অন্য এক জাতির উপর নৃশংসতা চালাচ্ছে। সোনির এই দীর্ঘ পোস্ট সমাজমাধ্যমে ‘লাইক’ করে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁর অভিনেত্রী কন্যা আলিয়াও।
হিটলার-শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন সোনির দাদু। তিনি গোপনে একটি সংবাদপত্র বার করতেন সেই সময়। সোনি লিখেছেন, “ওই সংবাদপত্র যতটা সম্ভব ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। তার পরে অবশ্যই যা হওয়ার তা-ই হয়েছিল। এক দিন দাদুকে ওরা খুঁজে বার করে এবং গ্রেফতার করে। প্রথমে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। তার পরে সেখান থেকে তাঁকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে অনেক কষ্ট সহ্য করেছিলেন তিনি। ভয়ঙ্কর সব জিনিস দেখেছিলেন।”
কিন্তু জার্মান ছিলেন বলেই সেখান থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। বহু চেনা-পরিচিত আইনজীবী ছিল তাঁর। সোনি তাঁর পোস্টে লিখেছেন, নিজে জার্মান হলেও, হিটলারের জমানায় অত্যাচারিত ইহুদিদের হয়ে সরব হয়েছিলেন। এই কারণেই একটা সময়ে জার্মানি থেকে সারা জীবনের জন্য নির্বাসিত হতে হয়েছিল তাঁকে। এই ইহুদিদের জন্যই এখন প্যালেস্তাইনের মানুষ নির্যাতিত। তাই সোনি লিখেছেন, “আমার দাদু সাহসের সঙ্গে স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই এখন প্যালেস্তাইনের অবস্থা দেখে মনে হয়, ভাগ্যিস দাদু বেঁচে নেই। বেঁচে থাকলে ওঁর মন ভেঙে যেত। যাদের জন্য লড়েছিলেন তারাই এখন অত্যাচার করছে।”
যদিও এমন বহু ইহুদি রয়েছেন, যাঁরা প্যালেস্তাইনে যা ঘটছে তার বিরোধিতা করছেন, ঠিক যেমন বহু জার্মান মানুষ হিটলারের বিরোধিতা করেছিলেন, মনে করেন সোনি। পারিবারিক এই ইতিহাসের জন্যই আজ প্যালেস্তাইনে চলা নৃশংসতার সঙ্গে নিজের যোগসূত্র খুঁজে পান আলিয়ার মা।